পটুয়াখালীর বাউফলে এক বিধবা নারীকে শীলতাহানি ও মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে।শুক্রবার (২৩ মে) বিকেল ৪টার দিকে উপজেলার সূর্যমনি ইউনিয়নের পশ্চিম রামনাগর গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।
আহত কুলছুম বেগমকে ও তার মেয়েকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে অভিযুক্ত আবুলের লোকজন তাদেরকে হাসপাতালে ভর্তি করতে বাধা দেয়। এতে কুলসুম বেগম ও তার মেয়ে হাসপাতালে ঢুকতে না পেরে হাসপাতালের সামনে শের-ই-বাংলা রোডের একটি বাসায় আশ্রয় নেন। রাত ১১টার পরে তাদের এক আত্মীয়র মাধ্যমে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, কুলছুম বেগমের স্বামী মারা যাওয়ার পর থেকেই বিভিন্ন সময় কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছেন একই বাড়ির চাচাতো দেবর আবুল হাওলাদার। তার ওই কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় তাকে (কুলছুম বেগমকে) একাধিকবার সামাজিক প্রতিবন্ধকতাসহ মারধরের ঘটনা ঘটিয়েছেন আবুল হাওলাদার । এ নিয়ে একাধিকবার স্থানীয়ভাবে সালিশ মীমাংসাও হয়েছে।
ঘটনার দিন কুলছুম বেগম (৫০) দুপুরের খাবার খেয়ে নিজ বসতঘরের সামনের বারান্দায় শুয়ে ছিলেন। আবুল হাওলাদার তার ঘরে এসে তাকে শুয়ে থাকতে দেখে ঝাপটে ধরে তার শীলতাহানির চেষ্টা করেন। তখন কুলছুম বেগম ডাকচিৎকার দিলে তার দুই মেয়ে ছুটে আসেন এবং লোকজনকে ডাকাডাকি করলে কুলছুম বেগমসহ তার দুই মেয়েকে এলোপাথাড়ি মারধর করেন। মা মেয়ের ডাকচিৎকার শুনে স্থানীয় লোকজন ছুটে এসে দেখেন অভিযুক্ত আবুল হোসেন, তার স্ত্রী, দুই মেয়ে, ভাই মস্তফা হাওলাদার, ভাতিজা জহিরুল ও রিয়াজসহ ৮-১০ জন মিলে এলোপাথাড়ি তাদেরকে মারধর করছেন।
স্থানীয়রা ছুটে আসলে আবুল হোসেন ও গংরা ছুটাছুটি করে পালাতে গিয়ে বিভিন্ন জায়গায় পড়ে যায়। বেড়ার টিন ও গাছের সাথে ধাক্কা লেগে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত প্রাপ্ত হয়।
এঘটনার পর থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।ঘটনার দিন রাতে আবুল হোসেন হাসপাতালে এসে ভর্তি হন। এবং আজ শনিবার সকালে আবুল হোসেন বাদী হয়ে স্থানীয় লোকজনের নামে একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
আবুল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, স্থানীয় ডালিমের নেতৃত্বে ১০-১২ জন সন্ত্রাসী এসে আমাদেরকে মারধর করে।
এদিকে স্থানীয়রা বলেন, ডালিম ব্যবসার সুবাদে দীর্ঘদিন যাবৎ কুমিল্লায় বসবাস করেন। ঘটনার দিন এলাকায় তিনি ছিলেন না।
এ বিষয়ে বাউফল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আক্তারুজ্জামান সরকার বলেন, উভয়পক্ষের লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
একুশে সংবাদ/ প.প্র /এ.জে