দুই দিন বন্ধ থাকার পর অবশেষে যশোর–চুয়াডাঙ্গা ভায়া কোটচাঁদপুর সড়কে বাস চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে বাস চলাচল বন্ধ থাকলেও জেলা প্রশাসনের আশ্বাসে শুক্রবার (২৩ মে) সকাল থেকে আবারও যান চলাচল শুরু হয়।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কোটচাঁদপুর শাখার আহ্বায়ক হৃদয় আহসান জানান, যাত্রীদের দীর্ঘদিনের দুর্ভোগ লাঘবে এই আন্দোলনের ডাক দেওয়া হয়েছিল। বৃহস্পতিবার রাতে কালিগঞ্জ বাস মালিক সমিতির অফিসে আন্দোলনকারীরা, বাস মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ এবং প্রশাসনের কর্মকর্তারা একত্রে আলোচনায় বসেন। আলোচনায় আশ্বাস পাওয়ার পর আন্দোলন প্রত্যাহার করা হয়।
জানা গেছে, স্বাধীনতার পর থেকেই যশোর-চুয়াডাঙ্গা সড়কে সরাসরি বাস চলত। তবে ১০-১২ বছর আগে কালিগঞ্জ ও চুয়াডাঙ্গা বাস মালিক সমিতির অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে এ রুটে সরাসরি বাস চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এর পরিবর্তে যশোর থেকে হাসাদহ এবং চুয়াডাঙ্গা থেকে হাসাদহ পর্যন্ত পৃথক বাস চলাচল শুরু হয়, যা যাত্রীদের জন্য বাড়তি ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের পর বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে উভয় মালিক পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে সরাসরি বাস চালুর ব্যবস্থা নেওয়া হয়। কিছুদিন চলাচলের পর আবারও তা বন্ধ হয়ে গেলে বুধবার (২১ মে) সকাল থেকে কোটচাঁদপুরে বাস চলাচল বন্ধ করে দেন আন্দোলনকারীরা।
দ্বিতীয় দিনেও কোনো সমাধান না হওয়ায় বৃহস্পতিবার পুরো দিন বাস চলাচল বন্ধ থাকে, এতে সাধারণ যাত্রীদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়। এরপর রাত ১২টার দিকে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয় এবং শুক্রবার সকাল থেকে বাস চলাচল স্বাভাবিক হয়।
কোটচাঁদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির হোসেন মাতুব্বর বলেন, “বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ বাস চলাচল বন্ধ রেখে আন্দোলন করছিলেন। বিষয়টি নিয়ে মালিকপক্ষের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে এবং শুক্রবার সকাল থেকে বাস চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।”
আন্দোলনকারীদের দাবি, যশোর–চুয়াডাঙ্গা সরাসরি বাস চলাচল পুরোপুরি স্থায়ী করতে হলে জেলা প্রশাসনের সরাসরি হস্তক্ষেপ প্রয়োজন। আহ্বায়ক হৃদয় আহসান বলেন, “জেলা প্রশাসক এ বিষয়ে শিগগিরই বসবেন বলে আমাদের জানিয়েছেন। আমরা আশা করছি দ্রুত স্থায়ী সমাধান আসবে।”
একুশে সংবাদ/ ঝি.প্র /এ.জে