AB Bank
  • ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৩ মে, ২০২৫, ৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

চরভদ্রাসনে নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে রাস্তা নির্মাণের অভিযোগ



চরভদ্রাসনে নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে রাস্তা নির্মাণের অভিযোগ

ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলায় নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে প্রায় ১ কিলোমিটার এইচবিবি (ইট সলিং) রাস্তা নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। এলাকাবাসীর দাবি, অত্যন্ত নিম্নমানের ইট, অপ্রতুল বালু এবং পর্যাপ্ত মাটি ছাড়া রাস্তার নির্মাণকাজ প্রায় ৯০ শতাংশ শেষ করেছেন সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার।

নির্মাণাধীন রাস্তাটি চরহরিরামপুর ইউনিয়নের পদ্মা নদীর এক পাড়ের আরজখার ডাঙ্গী গ্রাম থেকে ফকির ডাঙ্গী জামে মসজিদ পর্যন্ত ৫৪০ মিটার এবং পদ্মার অপর পাড়ে ছমির বেপারী ডাঙ্গী গ্রাম থেকে পাগলার বাজার পর্যন্ত ৪৬০ মিটার দীর্ঘ। মোট এক কিলোমিটার এইচবিবি রাস্তা নির্মাণ করা হচ্ছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ—রাস্তায় ব্যবহৃত ইট অত্যন্ত নিম্নমানের, বালু দেওয়া হয়েছে প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম, আর মাটি ভরাট প্রায় হয়নি বললেই চলে। এমনকি নির্মাণ শর্ত অনুযায়ী রাস্তার তিনটি স্থানে পাইপ কালভার্ট বসানোর কথা থাকলেও, সেগুলো নির্মাণের মাত্র তিন দিনের মাথায় ভেঙে গেছে। ফলে বর্ষা মৌসুমে স্রোতের চাপে রাস্তাটি ভেঙে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের আওতায় ২০২৪-২৫ অর্থবছরে পদ্মা নদীর দুই পার মিলিয়ে এক কিলোমিটার রাস্তা নির্মাণের এ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৮১ লাখ ১১ হাজার ২৬৫ টাকা। দরপত্র আহ্বানের মাধ্যমে ‘মেসার্স শোভন কম্পিউটার’ নামক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজটি পায়। তারা ২৪ ফেব্রুয়ারি কার্যাদেশ পাওয়ার পর নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করে কাজ শুরু করে।

অভিযোগের ভিত্তিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সরেজমিনে পরিদর্শনে গেলে কাজ সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয় এবং উন্নতমানের সামগ্রী ব্যবহারের নির্দেশনা দেওয়া হয়। কিন্তু এলাকাবাসীর দাবি, ৮০ শতাংশ কাজ ইতোমধ্যে নিম্নমানের সামগ্রী দিয়েই সম্পন্ন হয়ে গেছে।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ‘মেসার্স শোভন কম্পিউটার’-এর স্বত্বাধিকারী আঃ রাজ্জাক বলেন,“এলাকাবাসীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে ইউএনও ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সরেজমিন পরিদর্শন করেছেন। এরপর আমরা ভালো মানের সামগ্রী দিয়ে কাজ করেছি।”

ইউএনও মনিরা খাতুন বলেন,“আমি নির্মাণাধীন রাস্তা পরিদর্শন করেছি এবং নিম্নমানের সামগ্রী সরিয়ে উন্নতমানের ইট, বালু ও মাটি ব্যবহারের নির্দেশ দিয়েছি। কিন্তু পরে তারা আদৌ নির্দেশনা মানছে কি না, তা খোঁজ না নিয়ে বলা সম্ভব নয়।”

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সুদেব কৃষ্ণ বলেন,“অভিযোগের পর ভালো মানের সামগ্রী ব্যবহারের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে এবং সেই অনুযায়ী কাজ চলছে।”
গাজীরটেক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ইয়াকুব আলী বলেন,“কার্যাদেশ অনুযায়ী ছয় ইঞ্চি বালু দেওয়ার কথা থাকলেও দুই ইঞ্চিও দেওয়া হয়নি। বরাদ্দ থাকলেও রাস্তায় মাটিও ফেলা হয়নি। অত্যন্ত নিম্নমানের ইট ব্যবহার করা হয়েছে। পাইপ কালভার্ট তিনবার বসালেও তিনবারই ভেঙে গেছে।”

রাস্তাটির পাশের এক বসতি দীপু খান বলেন,“ইউএনও স্যার নির্দেশ দিলেও ঠিকাদার তা মানেননি। ইচ্ছেমতো কাজ করে যাচ্ছেন, অথচ প্রকল্প বাস্তবায়ন দেখানো হচ্ছে।”

 

একুশে সংবাদ/ ফ.প্র /এ.জে

Link copied!