সারাদেশে ৩২৯টি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ স্থাপনের অংশ হিসেবে বরিশালের উজিরপুর উপজেলার বামরাইল ইউনিয়নের হস্থিশুন্ড মৌজায় পরিত্যক্ত বহরকাঠি হাটের জমিতে একটি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ স্থাপনের আবেদন করেন এলাকাবাসী।
বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়রা কয়েক দফা সংবাদ সম্মেলন ও মানববন্ধন করেন। যদিও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ প্রস্তাবিত এলাকায় প্রতিষ্ঠান স্থাপনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, পরে তৎকালীন উপজেলা চেয়ারম্যান ও ভূমি প্রশাসনের কতিপয় কর্মকর্তার যোগসাজশে সেই স্থানটিকে `ঝুঁকিপূর্ণ` দেখিয়ে, উপজেলা সদরের ভাঙনকবলিত সন্ধ্যা নদীর তীরবর্তী মাহার মৌজায় জমি নির্ধারণ করে প্রস্তাব পাঠানো হয়।
সরকারি বিধি-বিধান উপেক্ষা করে প্রভাব খাটিয়ে জমি নির্বাচনের ঘটনায় এলাকাবাসীর পক্ষে অভিবাসী ও আন্তর্জাতিক বিষয়ক সভাপতি জহির ডাকুয়া লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন। তার ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার (২২ মে) সকাল ১১টায় কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের ভোকেশনাল পরিচালক প্রকৌশলী মো. রেজাউল হক এর নেতৃত্বে একটি তদন্ত কমিটি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
তদন্ত কমিটির সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন—
উজিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আলী সুজা
বরিশালের আঞ্চলিক পরিচালক মো. আরিফুর রহমান
সহকারী পরিচালক এনায়েত করিম
শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী মো. আখতারুজ্জামান
উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. তারিকুল ইসলাম
স্থানীয়দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন—
বামরাইল ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন যুগলু
সরকারি ঝালকাঠি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ড. মোয়াজ্জেম হোসেন
সরকারি শেরেবাংলা ডিগ্রি কলেজের সহযোগী অধ্যাপক জহিরুল ইসলাম
ক্রীড়াবিদ আব্বাস তালুকদার
যুবদল আহ্বায়ক আ.ফ.ম শামসুদ্দোহা আজাদ
এডভোকেট সাইদুর রহমান
বামরাইল ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান শাহীন
উজিরপুর উপজেলা প্রেসক্লাব সভাপতি মো. মাহফুজুর রহমান মাসুম
সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক মুন্না
বড়াকোঠা ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি সহযোগী অধ্যাপক আবদুল আজিজ
উপজেলা ছাত্রদল আহ্বায়ক মনির সরদার
যুগ্ম আহ্বায়ক তারেক সুজন
কৃষক দল ইউনিয়ন সভাপতি জামাল বেপারী
সৈয়দ মেহেদী হাসান ডিটু, খাইরুল ইসলাম ও আরও অনেকে।
তদন্ত কমিটির সঙ্গে মতবিনিময়কালে স্থানীয়রা বহরকাঠি হাটের জমিতেই টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ স্থাপনের যৌক্তিকতা তুলে ধরেন এবং মাহার মৌজার ভাঙনপ্রবণ এলাকা অপ্রতুল ও ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় তা বাতিলের দাবি জানান।
একুশে সংবাদ/ব.প্র /এ.জে