‘ভাঙনের ভয়াবহতা চোখে না দেখলে বিশ্বাস করা যাবে না’— নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়া রানাপাশা ও মোল্লারহাট এলাকার মানুষের কষ্ট দেখেই এমন মন্তব্য করেন নলছিটির উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নজরুল ইসলাম।
মঙ্গলবার (২১ মে) সকাল ১০টায় রানাপাশা ইউনিয়নের হদুয়া প্রান্ত থেকে ইঞ্জিনচালিত ট্রলারে করে ভাঙনকবলিত এলাকা পরিদর্শনে বের হন ইউএনও। নদীভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত ঘরবাড়ি, রাস্তা ও বেরিবাঁধের ধ্বংস চিত্র ঘুরে দেখেন তিনি।
এ সময় তিনি স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেন, তাদের দুঃখ-দুর্দশার কথা মনোযোগ দিয়ে শোনেন এবং দ্রুত সহায়তার আশ্বাস দেন।
তার সঙ্গে ছিলেন পানি উন্নয়ন বোর্ড ঝালকাঠির প্রতিনিধি দল—উপবিভাগীয় প্রকৌশলী উত্তম হালদার, নাহিদ হাসান, উপসহকারী প্রকৌশলী সাজেদুল বারী; উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আওলাদ হোসেন; উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা সালাহউদ্দিন খান; রানাপাশা ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম ও ইউনিয়ন পরিষদ সচিব মো. ইলিয়াস হোসেনসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিরা।
পরিদর্শন শেষে ইউএনও মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘এই ভাঙন রোধে আর দেরি নয়। আমরা পানি উন্নয়ন বোর্ড ও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে সঙ্গে নিয়ে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’
বছরের পর বছর ধরে নদীভাঙনে রানাপাশা ও মোল্লারহাট এলাকার শত শত পরিবার জমি-ঘর হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়েছে। বসতভিটা, রাস্তাঘাট, বিদ্যালয় এমনকি ফসলি জমিও নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। অনেকে এখন অস্থায়ীভাবে অন্যত্র আশ্রয় নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
দীর্ঘদিন ধরে এলাকাবাসীর দাবি সত্ত্বেও স্থায়ী কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তবে ইউএনওর এই সরেজমিন পরিদর্শন, বাস্তবচিত্র মূল্যায়ন এবং দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের আশ্বাস এলাকাবাসীর মধ্যে এক নতুন আশার আলো জাগিয়েছে।
একুশে সংবাদ////র.ন