চট্টগ্রামের জিয়া স্মৃতি জাদুঘরকে পূর্ণাঙ্গ জাদুঘরে রূপান্তরের বিষয়ে সরকার নানা উদ্যোগ নিচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। তিনি বলেন, জাদুঘরের বাজেট দ্বিগুণ করা হয়েছে এবং এখানে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্মৃতি সংরক্ষণের পাশাপাশি একটি দক্ষ কিউরেটর নিয়োগের প্রয়োজন রয়েছে।
সোমবার (১৯ মে) দুপুর ১২টায় নগরীর জিয়া স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন শেষে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ফরিদা খানমের সভাপতিত্বে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিব মফিদুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ কামরুজ্জামানসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা ও সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
উপদেষ্টা ফারুকী বলেন, "দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৈচিত্র্যময় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য রয়েছে। এসব ঐতিহ্যকে সংরক্ষণ ও উদযাপনের লক্ষ্যে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় একটি `সাংস্কৃতিক ক্যালেন্ডার` প্রস্তুত করছে। এর মাধ্যমে সারা বছর সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের সাথে যুক্ত থাকা যাবে।"
তিনি আরও জানান, চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী আবদুল জব্বারের বলী খেলা ও নৌকাবাইচ এ ক্যালেন্ডারে যুক্ত করা হবে। ২০২৫ সাল থেকে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় বলী খেলার আয়োজনে সক্রিয়ভাবে অংশ নেবে বলেও আশ্বাস দেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে নুসরাত ফারিয়ার গ্রেপ্তারের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে ফারুকী সরাসরি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে এর আগে সকাল ১১টা ১২ মিনিটে নিজের ফেসবুক স্ট্যাটাসে তিনি লিখেছিলেন:"আমি সাধারণত আমার মন্ত্রণালয়ের কাজের বাইরে কথা বলি না। কিন্তু আমি এই ইন্ডাস্ট্রিরই মানুষ ছিলাম, এবং দুই দিন পর সেখানেই ফিরে যাবো।
নুসরাত ফারিয়ার গ্রেপ্তার একটি বিব্রতকর ঘটনা হয়ে থাকলো আমাদের জন্য। সরকারের কাজ প্রকৃত অপরাধীদের বিচার করা।
তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার না করার যে নীতি ছিল, সেটিই অনুসরণ করা হচ্ছিল।
কিন্তু এয়ারপোর্টে যাওয়ার পরই গ্রেফতারের ঘটনা ঘটে। হয়তো সাম্প্রতিক কিছু ঘটনায় ওভার নার্ভাসনেস থেকেই এটা ঘটেছে।
এর আগে ব্যারিস্টার আন্দালিব পার্থের স্ত্রীর সঙ্গেও এমন ঘটনা ঘটেছিল। এ ধরনের ঘটনা সমর্থনযোগ্য নয়।
আমি বিশ্বাস করি, ফারিয়া আইনি প্রতিকার পাবেন এবং ঢালাও মামলাগুলো আমরা ভবিষ্যতে আরও সংবেদনশীলভাবে পরিচালনা করবো।"
একুশে সংবাদ/চ.প্র/এ.জে