AB Bank
  • ঢাকা
  • সোমবার, ১৯ মে, ২০২৫, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

বন্যার ভুয়া সংবাদে বিভ্রান্ত শেরপুর জেলাবাসী



বন্যার ভুয়া সংবাদে বিভ্রান্ত শেরপুর জেলাবাসী

উজান থেকে ধেয়ে আসছে বন্যার পানি। নদীর বাঁধ ভেঙ্গে প্লাবিত ১০টি গ্রাম। হঠাৎ এমন ভুয়া সংবাদে বিভ্রান্ত শেরপুর জেলাবাসী। আজ রবিবার সকালে একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলের খবরে এমন ঘটনা ঘটে। সেই চ্যানেলের শেরপুর জেলা প্রতিনিধির একটি লাইভ সূত্রে জানা যায়, সীমান্তবর্তী ঝিনাইগাতীর সোমেশ্বরী নদীর বাঁধ ভেঙ্গে প্লাবিত হয়েছে ১০টি গ্রাম।

এছাড়া পানি বৃদ্ধির ফলে ধানশাইল ইউনিয়নের একটি বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পাশাপাশি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালামালসহ বন্যার পানিতে ভেসে গেছে সদ্য কর্তনকৃত বোরো ধানের আটি। এ সময় ওই লাইভে সাংবাদিক আরো জানান, ভারতের মেঘালয়ে প্রচুর বৃষ্টি হচ্ছে ফলে শেরপুরের সীমান্তবর্তী উপজেলাগুলোতে বন্যা অবনতি হওয়ার শঙ্কা আছে।

কিন্তু সরেজমিনে দেখা গেছে, ঝিনাইগাতীতে বন্যায় ক্ষয়ক্ষতির দৃশ্যমান কোনো চিহ্ন নাই। এছাড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের গত ২৪ ঘণ্টার রিপোর্ট বলছে, জেলার সবকটি নদীর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

এদিকে এই ভুয়া খবর প্রকাশিত হওয়ার পর নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ঝিনাইগাতী উপজেলার সাংবাদিক ও সচেতন মহল। তাদের এক ফেইসবুক পোস্টে সারোয়ার জাহান বলেন, ভুয়া সাংবাদিকদের কাজই এমন গুজব খবর করা।

জিএম বাবুল নামে একজন লিখেছেন ১০টি গ্রাম প্লাবিত হলেও সরেজমিনে একটি গ্রামও খুঁজে পেলাম না।

ফুয়াদ নামে একজন কমেন্টে জানান, এসব গুজববাজ সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার।

এ বিষয়ে ঝিনাইগাতী উপজেলার ধানশাইল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম বলেন, মূলত নদীর পানি কিছু বৃদ্ধি পাওয়াতে বাকেরভিটার একটি সেতু ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এছাড়া অন্য কোথাও গ্রাম প্লাবিত হওয়ার ঘটনা ঘটেনি।

ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আশরাফুল আলম রাসেল জানান, আমি সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে এসেছি। তবে ধানশাইল ইউনিয়নে ১০টি গ্রাম প্লাবিত হওয়ার কোনো ঘটনা নেই। যারা এরকম ভুয়া ও গুজব সংবাদ পরিবেশন করে তাদের বিরুদ্ধে জেলা প্রেস ক্লাব থেকে ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত।

নাম না প্রকাশ করার শর্তে জেলার একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা বলেন, ইতিমধ্যে এই ভুয়া সংবাদে পুরো জেলাবাসী বিব্রত। এই সংবাদ দেখে আমাকে মন্ত্রণালয় থেকে ফোন করেছে। তবে আমি বলব সাংবাদিকরা সমাজের দর্পন। তাই গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে আমাদের আরও দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে হবে।
 

একুশে সংবাদ/শে .প্র/এ.জে

Link copied!