AB Bank
  • ঢাকা
  • সোমবার, ১৯ মে, ২০২৫, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

যশোর জজ আদালতের কোর্ট পুলিশের হাজতখানা থেকে আসামি পলাতক


Ekushey Sangbad
ইয়ানুর রহমান, যশোর
০৭:৪৭ পিএম, ১৮ মে, ২০২৫

যশোর জজ আদালতের কোর্ট পুলিশের হাজতখানা থেকে  আসামি পলাতক

যশোর জজ আদালত পুলিশের হাজতখানা থেকে হ্যান্ডকাফ ভেঙে হত্যা মামলার এক আসামি পালিয়ে গেছে । ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার (১৮ মে) দুপুর ২টায়। পলাতক আসামি জুয়েল খান মাগুরা জেলার শালিখা উপজেলার রামপুর গ্রামের জাহাঙ্গীর খানের ছেলে।

আদালত ও পুলিশ সূত্র জানায়, রবিবার ছিল এ মামলার  ধার্য তারিখ। সকালে জুয়েল ও হারুন অর রশিদকে যশোর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে আদালতে আনা হয়।

দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের এজলাসে তাদের হাজির করা হয়। পরে আদালত তাদের ফের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। তখন মহিলা পুলিশ কনস্টেবল
সোনালী তাদের দুজনকে নিয়ে হাজতখানায় যাচ্ছিলেন। এ সময় নিচতলার সিঁড়ির কাছে পৌঁছালে কৌশলে জুয়েল খান হাতকড়া ভেঙে পালিয়ে যায়। পরে কনস্টেবল সোনালী চিৎকার দিলে আশপাশের লোকজন তাকে তাড়া করে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পলাতকের খবর শুনে তারা পিছু ধাওয়া করেন। এ সময় জুয়েল জজ আদালতের সামনের গেট দিয়ে বের হয়ে মসজিদের সামনে দিয়ে দৌড়ে আইনজীবী সহকারী সমিতির কার্যালয়ের পাশ দিয়ে খিড়কির দিকে চলে যায়।

এদিকে, খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) নূর-ই-আলম সিদ্দিকী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) আবুল বাসার, কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল হাসনাতসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা আদালতে ছুটে যান। একই সঙ্গে পুলিশের একাধিক টিম জুয়েলকে খুঁজতে অভিযানে নামে। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট অভিযানে রয়েছে।

এ বিষয়ে কোর্ট ইন্সপেক্টর রোকসানা খাতুন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘জুয়েলকে খোঁজা হচ্ছে।এ ছাড়া ঘটনার সার্বিক বিষয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে।’

উল্লেখ্য, জুয়েল ইজিবাইকচালক আল-আমিন হত্যা মামলার চার্জশিটভুক্ত প্রধান আসামি। ২০২১ সালের ৯ ডিসেম্বর মাগুরা থেকে আল-আমিনের ইজিবাইক ভাড়া করে
যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার বুধোপুর গ্রামে এনে তাকে হত্যা করে এবং ইজিবাইক নিয়ে চম্পট দেয় জুয়েলসহ তার সহযোগীরা। এ ঘটনায় বাঘারপাড়া থানায় মামলা হয়।

২০২১ সালের ১৫ ডিসেম্বর র‌্যাব-৬ খুলনার স্পেশাল টিম জুয়েলসহ মামলার চার আসামিকে আটক করে এবং তারা হত্যার ঘটনা স্বীকার করে। পরে তাদেরকে বাঘারপাড়া থানায় হস্তান্তর করা হয়। এরপর থেকেই জুয়েল কারাগারে আটক ছিল।

এ ঘটনায় নিহতের বাবা মাগুরা জেলার শালিখা উপজেলার হরিশপুর গ্রামের বাসিন্দা মোস্তাফিজুর রহমান অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে বাঘারপাড়া থানায় মামলা করেন। মামলার তদন্তে র‌্যাব সদস্যরা জুয়েল খান, আল-আমিন, হারুন অর রশিদ ও মো. রাসেলকে আটক করেন। এ সময় তাদের কাছ থেকে আল-আমিনের ইজিবাইকের ব্যাটারি, চাকা ও ছুরি উদ্ধার করা হয়। মামলাটি তদন্ত শেষে ২০২২ সালের ১৪ ডিসেম্বর বাঘারপাড়া থানার এসআই হরষিত রায় আসামি জুয়েল ও একই গ্রামের সেলিম হোসেনের ছেলে হারুন অর রশিদের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। মামলাটির বিচারকার্য চলছে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ২য় আদালতে। এবং রবিবার ধার্য তারিখেই এই পালানোর ঘটনা ঘটে।

 

একুশে সংবাদ/য.প্র/এ.জে

Link copied!