মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলায় বরাইদ ইউনিয়নে সালুয়াকান্দি চর এলাকায় পিতার রেখে যাওয়া ওয়ারিশ সম্পত্তির বন্টনকে কেন্দ্র করে ৭ ভায়ের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি চলছে। পৈতৃক সম্পত্তির সমান হারে বুঝে না পাওয়ায় ছেলে মগ্রম আলী রাগে ক্ষিপ্ত হয়ে মৃত বাবার কবরে আঘাত করে।
বিষয়টি মিমাংসার জন্য স্হানীয় এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা গ্রামে শালিশের ব্যবস্হা করে। বিচারে কবরে আঘাতের বিষয়ে নিজের ভুল বুঝতে পেরে অনুতপ্তের শিকার হন ছেলে মগ্রম । এ সময় ৭ ভাই মিলে যাবে সে এমনও আশ্বাস দেন। পরের দিন ভাইদের মধ্যে সমঝোতা না করে পাঁচ ভাই পুরানো দাবি বহলের দাবি জানান। তারধারাবাহিকতায় ০৫/০৩/২০২৫ ইং তারিখে বড় ভাই মিনহাজের জায়গায় লাগানো গাছ, একটি গৃহ পালিত গরু, হারুন সহ ৫ ভাই জোর করে নিয়ে যায়। মিনহাজের চাষাবাদের ভূমিতে সেচ প্রদানের মোটরে মগ্রম সহ ৫ ভাই তালা ঝুলিয়ে দেয়।
সম্পত্তির বন্টনের বিষয়ে আব্দুল ওহাব জানান আমার মা বাবা মৃত্যুর আগে বড় ভাই মিনহাজের বাড়িতে থাকতো বাবা মৃত্যুর আগে বেশ কিছু জায়গা মিনহাজের নামে লিখে দিয়ে যায়। যার ফলে ভাইদের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। আমরা বিরোধ চাই না পিতার জমি সমান হারে বন্টন চাই।
বরাইদ ইউনিয়ন পরিষদের ৪ নং ওয়ার্ডের ইউ,পি,সদস্য মো: রমজান আলী জানান সম্পত্তির বন্টনকে কেন্দ্র করে ৭ ভাইয়ের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। একাধিক বিচার শালিশের ব্যবস্হা করা হয় । সকল ভাইয়েরা একমত না হওয়ায় কোন সমাধান দেওয়া সম্ভব হয় নাই।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী মিনহাজ উদ্দিন জানান আমার মা প্যারালাইসিস হয়ে দশ বছর ঘরে পড়ে ছিল। সে সময় মা বাবার চিকিৎসা সহ সকল ভরনপোষনের দায়িত্ব নেয়। বাবা খুশি হয়ে তার নামে কিছু সম্পত্তি দলিলের মাধ্যমে হস্তান্তর করে। সেই জমি অন্য ৫ ভায়েরা বন্টনের দাবি জানান পরে নিরুপাই হয়ে ৫ ভাইয়ের বিরুদ্ধে সাটুরিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে।
সাটুরিয়া থানা পুলিশ ৫ ভায়ের কবল থেকে গরু উদ্ধার করে মিনহাজকে বুঝিয়ে দেয়।
এ বিষয়ে সাটুরিয়া উপজেলা বি,এন,পির সভাপতি, বরাইদ ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো: আব্দুল কুদ্দুস খান মজলিস মাখন জানান চর এলাকায় সাধারণ জনগণের সুবিধা অসুবিধা বিষয়ে তিনি সব সময় পাশে থাকেন। সালুয়াকান্দি চর এলাকায় পিতার রেখে যাওয়া ওয়ারিশ সম্পত্তির বন্টনকে কেন্দ্র করে ৭ ভাইয়ের মধ্যে বিরোধ চলছে। ৭ ভাই মিলে মিশে যদি সুষ্ঠু সমাধান চায় তাহলে স্হানীয় এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে বসে বিষয়টি সমাধান করা যেতে পারে।
সাটুরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: শাহিনুল ইসলাম জানান, ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
একুশে সংবাদ/মা.প্র/এ.জে