ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তরের জমি দখল করে গড়ে তোলা অবৈধ স্থাপনা সরাতে ৭ দিনের আল্টিমেটামসহ নোটিশ দিয়েছেন সওজ কর্মকর্তারা। বুধবার (১৪ মে) দুপুরে এসব দখলদারদের হাতে লিখিত নোটিশ তুলে দেওয়া হয়। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে স্থাপনা অপসারণ না করলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন তারা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, জীবননগর–কালিগঞ্জ আঞ্চলিক সড়কের কোটচাঁদপুর অংশে দীর্ঘদিন ধরে রাস্তার পাশে থাকা সওজ-এর জমি দখল করে স্থাপনাগুলো গড়ে তোলা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে দোকান, আমবাজার, হোটেল, স-মিল ও রাইচমিলসহ নানা স্থাপনা। দখলদাররা এসব স্থাপনায় ভাড়া দিয়ে প্রতি মাসে মোটা অঙ্কের অর্থ আয় করতেন।
বুধবার দুপুরে সরেজমিন পরিদর্শনে যান ঝিনাইদহ সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী হাফিজুর রহমান, সহকারী প্রকৌশলী আহসান উল কবির, কার্যসহকারী মাসুদ রানা ও সার্ভেয়ার সোহেল রানা। তাদের সঙ্গে ছিলেন কোটচাঁদপুর থানার পিএসআই হাসান ও স্থানীয় সাংবাদিকরাও।
তারা অবৈধভাবে দখল করা জমি পরিদর্শন করেন এবং সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলেন। পরবর্তীতে প্রতিটি অবৈধ স্থাপনার মালিককে লিখিত নোটিশ দেওয়া হয়। এতে বলা হয়, ৭ দিনের মধ্যে নিজ খরচে স্থাপনা সরিয়ে নিতে হবে। অন্যথায় সরাসরি উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
স্থানীয় একাধিক ব্যবসায়ী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে এই দখল ও ভাড়া বানিজ্য চলছে। এতে করে একদিকে পরিবেশ নষ্ট হয়েছে, অন্যদিকে সড়কে দুর্ঘটনা বাড়ছে। আমরাও ভোগান্তিতে ছিলাম। এতদিন বলেও লাভ হয়নি। অবশেষে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ উদ্যোগ নিয়েছে, এটা ভালো উদ্যোগ। তবে আমরা চাই, শুধু নোটিশে যেন থেমে না যায়। কার্যকর পদক্ষেপ দেখতে চাই।”
নির্বাহী প্রকৌশলী হাফিজুর রহমান বলেন, “আমাদের জনবল সীমিত হওয়ায় সব কিছু জানার পরও দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া যায় না। তবে পর্যায়ক্রমে সড়কের পাশের সব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে। নতুন যারা স্থাপনা করেছেন, তাদের ৭ দিনের নোটিশ দেওয়া হয়েছে। সময়মতো না সরালে আমরা সরাসরি ভেঙে দেব এবং আইনি ব্যবস্থা নেব।”
তিনি আরও জানান, “এর আগে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনাগুলোকেও পর্যায়ক্রমে নোটিশ দেওয়া হবে এবং পুরো এলাকায় সওজ-এর জায়গা দখলমুক্ত করা হবে।”
একুশে সংবাদ/ঝি.প্র/এ.জে