AB Bank
  • ঢাকা
  • সোমবার, ১২ মে, ২০২৫, ২৯ বৈশাখ ১৪৩২

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

মোরেলগঞ্জে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের স্বেচ্ছাচারিতায় প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন নির্মাণকাজ ব্যাহত



মোরেলগঞ্জে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের স্বেচ্ছাচারিতায় প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন নির্মাণকাজ ব্যাহত

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার বারইখালী ইউনিয়ন পরিষদের পার্শ্ববর্তী ১৮২নং বারইখালী সুতালড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণের কাজ চলছে ধীর গতিতে। কাজের ওয়ার্ক অর্ডার পাওয়ার পরে দীর্ঘ ৯ মাস নির্মাণকাজ বন্ধ করে রেখেছিল ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। পরবর্তীতে গত বছরের নভেম্বর মাসের আগে ধীর গতিগে স্কুলটির নির্মাণকাজ শুরু হয়। এতে করে স্থানীয় এলাকাবাসী ও বিদ্যালয়ের কোমলমতি  শিক্ষার্থীদের চরম দুর্ভোগে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ১৮২নং বারইখালী সুতালড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকসহ কোমলমতি শিক্ষার্থীরা ঝুঁকি নিয়েই টিনের চালের জরাজীর্ণ কক্ষে ক্লাস ও অফিস করছেন। রেজিস্টার্ড এই বিদ্যালয়টি বর্তমানে সরকারিকরণ হওয়ায় আশার আলো দেখছিলেন গ্রামবাসী। সরকারিকরণের কয়েক বছর পরে দু‍‍`তলা ভবন বরাদ্দ হলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের চরম অবহেলা ও গাফিলতির ফলে জনমনে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। সামনের বর্ষা মৌসুমের পুর্বে নির্মাণকাজ সম্পন্ন না হলে আসন্ন বর্ষায় শিক্ষার্থীরা চরম দুর্ভোগে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

উপজেলা এলজিইডি কার্যালয়ের সূত্রে জানা যায়, চাহিদা ভিত্তিক নতুন জাতীয়করণকৃত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প (১ম পর্যায়) এর আওতায় ২০২৩- ২০২৪ অর্থবছরে এ বিদ্যালয়টির ভবন নির্মাণের কাজ পায় খুলনার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স চান এন্টারপ্রাইজ।

বিদ্যালয়ের নতুন ভবন নির্মাণের ব্যয় ধরা হয়েছে ১ কোটি ১৩ লক্ষ টাকা। ভবন নির্মাণকাজ শুরুর কথা ২০২৩ সালের আগস্ট মাসের প্রথম দিকে এবং শেষ করার কথা ২০২৪ সালের আগস্ট মাসে। কিন্তু কাজের অনুমতির পরও ঠিকাদার দীর্ঘ  ৮ মাস কাজ বন্ধ করে রেখেছিলেন। গত বছরের শেষের দিকে যেনতেন ভাবে কাজ শুরু করেন। কাজ শুরুর এক বছরের মধ্যে দৃশ্যমান কোনো কাজ করেনি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এই ভবনটির নির্মাণকাজ শেষ করার কথা ছিল ২০২৪ সালের আগস্ট মাসের মধ্যে। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কোনো কাজ না করেই সময় বাড়ানোর আবারও আবেদন করলে সরকার নির্মাণের সময় বৃদ্ধি করে নির্মাণকাজ শেষ করবে ২০২৫ সালের জুন মাসের মধ্যে। কিন্তু এখন পর্যন্ত বিদ্যালয়টির নতুন ভবন নির্মাণে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান দৃশ্যমান কোনো কাজ করেনি। নতুন ভবনের পাইলিং করার পরে ধীর গতিতে স্বেচ্ছাচারিতা ভাবে কাজ করে যাচ্ছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।

বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা বলে, আমাদের অনেক সহপাঠী বিভিন্ন সময়ে আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে স্কুলে আসে না। 
নির্মাণাধীন মালামাল এদিক সেদিক ফেলে রাখার কারণে। এছাড়া দীর্ঘদিন ধরেই আমাদের স্কুলের কাজ চলছে আমাদের একটি খেলার মাঠও নেই। এ কারণে আমাদের অনেক সহপাঠী স্কুলে আসে না। একটু বৃষ্টি হলেই আমাদের হাঁটু সমান পানির মধ্যে ক্লাস করতে হয়। আমরা চাই দ্রুতই আমাদের স্কুলের কাজ সম্পূর্ণ করা হোক।

এলাকাবাসীরা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এই স্কুলে এভাবে ফেলে রাখার কারণে আমাদের ছেলেমেয়েরা স্কুলে এসে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার স্বীকার হচ্ছে।

এছাড়া এই সাথে অনেকগুলো স্কুলের কাজ শুরু হয়েছে সেগুলোর সব কাজ শেষ হয়ে গেছে। আমাদের এই স্কুলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের খামখেয়ালীর কারণে স্কুল এখনো তৈরি হয়নি। এই ঠিকাদার তাদের ইচ্ছামতো কাজ করে যখন মনে চায় তখন এসে কাজ করে।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হারুনর রশীদ  বলেন, বিগত এক বছর পূর্বে ভবন নির্মাণ শুরু হলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের অবহেলার কারণে এখনো ভবন নির্মাণ না হওয়ায় আমরা ঝুঁকি নিয়ে টিনের চালের জরাজীর্ণ কক্ষে পাঠদান করাচ্ছি, অফিস করছি। একটু বৃষ্টি হলেই প্রতিটি ক্লাসরুম পানিতে ভরে যায়। বিদ্যালয়ের নতুন ভবন নির্মাণ করা না গেলে শিক্ষার্থীরা চরম দুর্ভোগে পড়বে।

মোরেলগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম বলেন, একটি ব্রিজের কারনণ প্রায় একবছর পিছিয়ে গিয়েছে, কাজ করতে অনেক সমস্যা হয়েছে। জুন মাস পর্যন্ত সময় আছে। এর ভিতরে কাজ শেষ করতে বলা হয়েছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চান এন্টারপ্রাইজকে।

 

 

একুশে সংবাদ/বা.প্র/এ.জে

Shwapno
Link copied!