বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে শাফায়েত তালুকদার (৩০) নামে বিএনপির এক কর্মীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৮ মে) বিকেল ৫টার দিকে জিউধরা বাজার এলাকায় অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে নিহত শাফায়েতের বাবা-মা, স্ত্রী, দুই বোনসহ শত শত গ্রামবাসী অংশগ্রহণ করেন।
বক্তারা বলেন, শাফায়েতকে যৌথবাহিনির সদস্যরা পরিকল্পিতভাবে পিটিয়ে হত্যা করেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া একটি ছবিতে সেনাবাহিনীর পোশাক পরিহিত কয়েকজনকে মাটিতে লুটিয়ে পড়া শাফায়েতের চারপাশে ঘিরে থাকতে দেখা গেছে।
নিহতের বাবা ফারুক হোসেন তালুকদার বলেন, “আমার ছেলেকে পূর্ব শত্রুতার জেরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একটি অংশ নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করেছে। তার শরীরে সিগারেটের ছ্যাঁকাও দেওয়া হয়েছে। অথচ তার নামে কোনো মামলা ছিল না।”
ঘটনার বিষয়ে জানা যায়, গত মঙ্গলবার (৬ মে) সকাল ৮টার দিকে জিউধরা গ্রামে এক ওয়ারেন্টভুক্ত আসামিকে ধরতে পুলিশের একটি দল অভিযানে গেলে ফারুক তালুকদারের ছেলে শাফায়েত তালুকদারকে আটক করা হয়। পরে যৌথবাহিনির সদস্যদের মারধরে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয় বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।
এ ঘটনার পর থেকে অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া এএসআই পিন্টুকে আর থানায় দেখা যায়নি। একটি সূত্র জানায়, তাকে শাস্তিমূলক বদলি করা হয়েছে।
শাফায়েতের মরদেহের ময়নাতদন্ত শেষে বুধবার (৭ মে) বিকেল ৬টার দিকে নিজ গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। জানাজায় মোরেলগঞ্জ থানার ওসি মো. রাজিব আল রশিদসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ ও শত শত এলাকাবাসী অংশ নেন।
এদিকে, শাফায়েতের মৃত্যুর ঘটনায় জেলা বিএনপির নেতা কাজী খায়রুজ্জামান শিপন, মোরেলগঞ্জ পৌর বিএনপির সভাপতি শিকদার ফরিদুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান মিলন নিহতের পরিবারের সঙ্গে দেখা করে সমবেদনা জানিয়েছেন এবং হত্যাকারীদের দ্রুত বিচারের দাবি জানিয়েছেন।
একুশে সংবাদ/বা.প্র/এ.জে
একুশে সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
