খাগড়াছড়ি সদর উপজেলার গাছবান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী বাবলু ত্রিপুরাকে বুটজুতা না পরায় নির্মমভাবে মারধরের অভিযোগ উঠেছে প্রধান শিক্ষক ক্যাটালিনা চাকমার বিরুদ্ধে। বই দিয়ে আঘাতের ফলে শিক্ষার্থীর নিচের চোয়ালের একটি দাঁত ভেঙে যায় বলে জানা গেছে।
ঘটনাটি ঘটে গত ২৪ এপ্রিল (বৃহস্পতিবার) দুপুরে। বিষয়টি জানাজানি হলে ২৮ এপ্রিল অভিভাবক ও স্থানীয় জনসাধারণ স্কুল ঘেরাও করে প্রধান শিক্ষকের অপসারণের দাবি জানান।
বাবলু ত্রিপুরা জানায়, "জুতা না পরায় ক্যাটালিনা ম্যাডাম বই দিয়ে মারতে থাকেন। এক পর্যায়ে বইয়ের শক্ত অংশে আঘাত পেয়ে আমার নিচের একটি দাঁত পড়ে যায়।"
অভিভাবকদের পক্ষ থেকে মেনুকা ত্রিপুরা পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এতে বলা হয়, ঘটনার পর থেকে শিক্ষার্থী শারীরিকভাবে অসুস্থ এবং মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছে। তাই নিরপেক্ষ তদন্ত ও অভিযুক্ত শিক্ষকের দ্রুত অপসারণের দাবি জানানো হয়।
অভিযোগের পর প্রধান শিক্ষক ক্যাটালিনা চাকমাকে বিদ্যালয়ে পাওয়া যায়নি। মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “আমি এখন স্কুলের বাইরে আছি, এ বিষয়ে এখন কিছু বলতে পারব না।”
ঘটনার বিষয়ে খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা সমাবেশ চাকমা বলেন, “ঘটনাটি জানার পর আমি বিদ্যালয়ে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত রাখার চেষ্টা করি। যেহেতু শারীরিক নির্যাতন একটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ, তাই বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।”
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সফিকুল ইসলাম ও পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জিরুনা ত্রিপুরা উভয়েই জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হলে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এই ঘটনা নিয়ে এলাকাজুড়ে শিক্ষকদের আচরণ ও বিদ্যালয়ের পরিবেশ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছেন অভিভাবকরা।
একুশে সংবাদ/খা.প্র/এ.জে
আপনার মতামত লিখুন :