মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার নোহাটা উত্তর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মিজানুর রহমান টিটো কর্তৃক চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী রিমি খাতুন (১১)-কে শ্লীলতাহানির ঘটনায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে এরইমধ্যে থানায় মামলা হলেও পুলিশ এখনও তাকে গ্রেফতার করতে পারেনি।
ঘটনার পর থেকেই এলাকায় ব্যাপক প্রতিবাদ চলছে। মঙ্গলবার (৬ মে) দুপুরে শ্রীপুর উপজেলা ছাত্রদল, সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রদল, সাধারণ শিক্ষার্থী ও স্থানীয় জনসাধারণ বিক্ষোভ মিছিল, মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে।
পরে শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাখী ব্যানার্জী-র কাছে অভিযুক্ত শিক্ষক মিজানুর রহমান টিটোর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
ইমরান হোসেন, আহ্বায়ক, শ্রীপুর সরকারি কলেজ ছাত্রদল বলেন, “ধর্ষকের কোনো দল নেই, তার পরিচয় একটাই—সে নিকৃষ্ট ব্যক্তি।”
সাহেব আলী খন্দকার, যুগ্ম আহ্বায়ক, উপজেলা কৃষকদল বলেন, “একজন শিশু ধর্ষণের চেষ্টাকারী কীভাবে একজন শিক্ষক হতে পারে? এই ঘটনায় অভিভাবক হিসেবে আমরা শঙ্কিত।”
রিফাত, ছাত্রদল কর্মী বলেন, “যদি শিক্ষকই ধর্ষক হয়, তাহলে আমরা কোথায় যাবো?”
মেহেদী হাসান অন্তর, সাবেক আহ্বায়ক, কলেজ ছাত্রদল বলেন, “শিশুরা যদি শিক্ষকের কাছেই নিপীড়নের শিকার হয়, তাহলে নিরাপদ ভবিষ্যৎ কোথায়?”
পুলিশ এখনও অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেফতার করতে না পারায় সাধারণ মানুষ ও আন্দোলনকারীদের মাঝে ক্ষোভ ও হতাশা বাড়ছে। তারা দ্রুত গ্রেফতার ও শাস্তির দাবি জানাচ্ছেন।
একুশে সংবাদ/মা.প্র/এ.জে
আপনার মতামত লিখুন :