বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার ছাতিয়ানগ্রাম ইউনিয়নের কৈকুড়ী রহিম-মজিদ উচ্চ বিদ্যালয়ে মোবাইল ফোন ব্যবহার নিষেধ করায় প্রধান শিক্ষক আতিয়ার রহমান মারাত্মকভাবে আহত হয়েছেন। তাকে মারধর করে ওই বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র হৃদয়। সোমবার (৫ মে) বেলা ১১টায় এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, বিদ্যালয়ে নিয়ম বহির্ভূত মোবাইল ব্যবহার, মাদকসেবন ও ইভটিজিংয়ের অভিযোগে ক্লাসে হৃদয়কে প্রধান শিক্ষক সতর্ক করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে হৃদয় তার ফুপুর প্ররোচনায় প্রধান শিক্ষক আতিয়ার রহমানকে বাঁশের লাঠি (খাঁটা) দিয়ে পিটিয়ে মুখে ও নাকে গুরুতর জখম করে। হৃদয়ের ফুপু একই বিদ্যালয়ের শিক্ষক দুলালী খাতুন বলে জানা গেছে।
ঘটনার পর বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা প্রথমে বিদ্যালয় মাঠে এবং পরে উপজেলা পরিষদ চত্বরে মানববন্ধন করেন। মানববন্ধনে অংশ নেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক-কর্মচারী সমিতির সভাপতি নজরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আবুল কালাম আজাদ, তিলোচ শিববাটি বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মঞ্জুরুল ইসলামসহ শিক্ষকবৃন্দ।
বক্তারা হৃদয়ের উশৃঙ্খল আচরণ, নৈতিক স্খলন এবং শিক্ষকদের নিরাপত্তার বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তারা প্রধান শিক্ষকের উপর হামলার নেপথ্যে থাকা সকলের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
মানববন্ধন শেষে শিক্ষার্থীরা জেলা প্রশাসকের কাছে একটি স্মারকলিপি প্রদান করে।
এই ঘটনার প্রতিবাদে শিক্ষকদের সংগঠন ও এলাকাবাসীর মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। শিক্ষাঙ্গনে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন তারা।
একুশে সংবাদ/ব.প্র/এ.জে
আপনার মতামত লিখুন :