কুড়িগ্রামের রাজীবপুর উপজেলার সদর ইউনিয়নের বড়াইডাঙ্গী গ্রামে আট বছর আগে বিনিময় দলিল করার পরেও নিজের প্রাপ্য জমি বুঝে না পেয়ে চরম হতাশায় ভুগছেন একই গ্রামের বাসিন্দা আলহাজ্ব আব্দুর রশিদ।
ভুক্তভোগী আব্দুর রশিদের দাবি, তিনি আট বছর আগে অর্থাৎ ২০১৮ সালে বড়াইডাঙ্গী গ্রামের আব্দুল হামিদের স্ত্রী রীনা হামিদ এর সঙ্গে জমি বিনিময় করেন। বিনিময়ের শর্ত অনুযায়ী, আব্দুর রশিদ তার চর রাজীবপুর মৌজার মালিকানাধীন দুই শতক জমি যাহার ডিপি খতিয়ান-৮৮৯ ডিপি দাগ নং-৭৫৬৮। আব্দুল হামিদের স্ত্রী রীনা হামিদ কে বুঝে দেন এবং বিনিময়ে রীনা হামিদ এর চর রাজীবপুর মৌজার মালিকানাধীন সাত শতক জমি যাহার ডিপি খতিয়ান-১৩০২, দাগ নং এসএ-৩১৮৮ ইহার ডিপি দাগ নং ৭৯৬২ এর উপর দলিল সম্পাদন করেন। এই বিনিময়ের ভিত্তিতে খাজনা খারিজসহ সকল সরকারি কার্যক্রমও সম্পন্ন হয়।
কিন্তু দীর্ঘ আট বছর পেরিয়ে গেলেও আলহাজ্ব আব্দুর রশিদ তার প্রাপ্য ৭শতক জমি বাস্তবে বুঝে পাননি। তিনি অভিযোগ করে বলেন, “রীনা হামিদ এর স্বামী ওই সময় পুলিশ অফিসার ও আওয়ামীলীগের প্রভাবশালী নেতা তাই সে নানা টালবাহানায় আমাকে ঘুরিয়ে আসছে। জমি বুঝিয়ে না দিয়ে এখন উল্টো বেদখলের পাঁয়তারা করছে।”
এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা জানান, আব্দুর রশিদ দীর্ঘদিন ধরে জমিটি বুঝে পাওয়ার চেষ্টা করছেন এবং এই নিয়ে এলাকায় একাধিকবার সালিশ বৈঠকও হয়েছে। তবে কোনো সমাধান হয়নি।
এদিকে বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগী। আব্দুর রশিদ বলেন, “আমি আইনের আশ্রয় নিতে বাধ্য হচ্ছি। প্রশাসনের কাছে অনুরোধ, যেন আমি আমার ন্যায্য জমি ফিরে পাই।”
স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কেউ কেউ জানান, বিষয়টি সম্পর্কে তাঁরা অবগত এবং দ্রুত সমাধানের জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছে তারা।
এ নিয়ে আব্দুল হামিদ এর স্ত্রী রীনা হামিদের বক্তব্য জানার চেষ্টা করা হলেও তার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
একুশে সংবাদ/কু.প্র/এ.জে