জয়পুরহাটের কালাই পৌর শহরের পোড়াগ্যাড়া মাঠে গভীর নলকূপ থেকে তিনটি ১০ কেভি ট্রান্সফরমার চুরি করেছে মুখোশধারী দুর্বৃত্তরা। চুরি করার সময় তারা নলকূপের পাহারাদারকে হাত-পা বেঁধে ও মুখে কসটেপ লাগিয়ে ঘরের ভেতরে আটকে রাখে। পরে বৈদ্যুতিক খুঁটির ওপর থেকে ট্রান্সফরমারগুলো খুলে কেবল তামার তার নিয়ে যায়। খোলগুলো ফেলে রেখে যায় ঘটনাস্থলেই।
একুশে সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুনঘটনাটি ঘটে শুক্রবার (২ মে) রাত সাড়ে ৯টার দিকে।শনিবার সকালে স্থানীয় কৃষকরা মাঠে কাজ করতে গিয়ে জানালা দিয়ে দেখতে পান পাহারাদার দেলোয়ার হোসেন মেঝেতে পড়ে আছেন, হাত-পা বাঁধা এবং মুখে কসটেপ। পরে মালিক হেলাল উদ্দিন প্রামানিক এসে তাকে উদ্ধার করেন এবং তাৎক্ষণিকভাবে থানায় ও পল্লীবিদ্যুৎ সমিতিকে অবহিত করেন।
মাত্র এক ঘণ্টা আগেই দায়িত্ব নিতে আসেন পাহারাদার দেলোয়ার। কিন্তু shortly afterward, মুখোশধারী ৬-৭ জনের একটি দল তাকে মারধর করে, মুখ বেঁধে হাত-পা বাঁধে এবং ঘরের দরজায় তালা লাগিয়ে দেয়। এরপর তারা নিশ্চিন্তে বৈদ্যুতিক খুঁটির উপর থেকে ট্রান্সফরমারগুলো খুলে ফেলে ও তামার তার সংগ্রহ করে পালিয়ে যায়।
নলকূপ মালিক হেলাল উদ্দিন জানান, ট্রান্সফরমার তিনটির আনুমানিক মূল্য ২ লাখ ১০ হাজার টাকা। এর আগেও চলতি মৌসুমে তার নলকূপ থেকে চুরি হয়েছিল।
তিনি বলেন, “এই অবস্থায় কৃষকরা কীভাবে টিকে থাকবে? ফসলের মৌসুমে এমন চুরি ভয়াবহ ক্ষতি ডেকে আনে।”
স্থানীয়দের মতে, চলতি মৌসুমে কালাই উপজেলায় অন্তত ৭৯টি ট্রান্সফরমার ও ১৫টি মিটার চুরি হয়েছে। প্রতিটি ক্ষেত্রেই একই কৌশল—পাহারাদারকে বেঁধে রেখে কেবল তামার তার নিয়ে যাওয়া।
কালাই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জাহিদ হোসেন বলেন, “বিষয়টি শুনেছি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
জয়পুরহাট পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার আবু উমাম মো. মাহবুবুল হক জানান, “এই ধরনের চুরি উদ্বেগজনক হারে বেড়েছে। সমাজের সকল পক্ষের সহযোগিতা ছাড়া একে রোধ করা কঠিন।”
একুশে সংবাদ/জ.প্র/এ.জে
