দেশের বৃহত্তম ও প্রশাসনিক দিক থেকে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপজেলা ফটিকছড়ি। আয়তনে ৭৭৩.৫৫ বর্গকিলোমিটার এই জনপদে রয়েছে ২টি থানা, ১৮টি ইউনিয়ন, ২টি পৌরসভা, ৪টি পুলিশ ফাঁড়ি, ১৭টি চা বাগান, ৩টি রাবার বাগান ও ৫৬টি হাটবাজার। এখানকার গর্ব হালদা নদী—যা এশিয়ার একমাত্র প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হিসেবে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত।
এই বিশাল এলাকার প্রশাসনিক দায়িত্ব বর্তমানে একাই কাঁধে নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ মোজাম্মেল হক চৌধুরী। দীর্ঘদিন ধরে এই উপজেলায় সহকারী কমিশনার (ভূমি) নেই। পাশাপাশি নাজিরহাট ও ফটিকছড়ি পৌরসভার মেয়র ও কাউন্সিলরদের অপসারণের পর থেকে দুই পৌরসভার প্রশাসকের দায়িত্বও তিনিই পালন করছেন।
বর্তমানে তিনি সরাসরি ৬টি ইউনিয়নের প্রশাসনিক দায়িত্ব, ২টি পৌরসভার প্রশাসক, ৯২টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসার পরিচালনা কমিটির সভাপতি, ২২৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষা কমিটির সভাপতি, ১০৬টি উপজেলা কমিটির সভাপতি এবং উপজেলা পরিষদের প্রশাসকসহ প্রায় দুই শতাধিক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করছেন। এক কথায়—ফটিকছড়ির প্রায় প্রতিটি প্রশাসনিক কার্যক্রমই পরিচালিত হচ্ছে তার নেতৃত্বে।
এর পাশাপাশি সামাজিক বিচার-আচার, চোরাচালান প্রতিরোধ, অবৈধ দখল উচ্ছেদ, কাঠ পাচার রোধ, হালদা নদী রক্ষা এবং পরিবেশ সংরক্ষণে তিনি নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছেন। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং সাধারণ জনগণের সঙ্গে সমন্বয় করে সেবা নিশ্চিত করতে দিনরাত পরিশ্রম করছেন এই কর্মকর্তার।
সবচেয়ে বিস্ময়কর বিষয় হলো—এত দায়িত্বের মাঝেও তার মুখে নেই অভিযোগের সুর। তিনি বলেন, “সরকার পরিবর্তনের পর দায়িত্ব বেড়েছে ঠিক, তবে মানুষের জন্য কাজ করাটাই আমার জীবনের বড় সৌভাগ্য। কষ্ট হলেও চেষ্টা করছি সাধারণ মানুষের পাশে থাকতে। এটাই আমার তৃপ্তি।”
সম্প্রতি কিছু ইউটিউব ও ফেসবুক কনটেন্ট ক্রিয়েটর তার বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ তুললেও, তিনি তাতে কর্ণপাত না করে আগের মতোই সততা, নিষ্ঠা ও দক্ষতার সঙ্গে নিজের দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন।
চা ও রাবার বাগান, হালদা নদীর পরিবেশ ও রেণু উৎপাদন রক্ষা—সবখানেই তিনি সক্রিয় ভূমিকা রাখছেন। অবৈধ বালু উত্তোলন, নদী দখল ও দূষণ রোধে পরিচালনা করেছেন একের পর এক সফল অভিযান।
তথ্যপ্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার করে সরকারি ও বেসরকারি সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিচ্ছেন তিনি। সরকারের নানা উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নেও তার কার্যকর নেতৃত্ব প্রশংসিত।
ফটিকছড়িকে একটি সুশৃঙ্খল, উন্নয়নমুখী, সন্ত্রাসমুক্ত ও জনবান্ধব উপজেলা হিসেবে গড়ে তুলতেই চলছে ইউএনও মোজাম্মেল হকের নিরলস প্রচেষ্টা।
পরিচিতি: মোঃ মোজাম্মেল হক চৌধুরী বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডারের কর্মকর্তা। সততা, দক্ষতা ও মানবিক নেতৃত্বগুণে প্রশাসনিক অঙ্গনে ইতোমধ্যে গড়ে তুলেছেন নিজস্ব পরিচিতি। তার নেতৃত্বে ফটিকছড়িবাসী পাচ্ছে কার্যকর ও মানবিক সেবা।
একুশে সংবাদ//ফ.চ.প্র//এ.জে
আপনার মতামত লিখুন :