শিল্পী লাকী আখান্দের অষ্টম মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধাঞ্জলি। তিনি ছিলেন বাংলাদেশের একজন প্রখ্যাত সুরকার, সঙ্গীত পরিচালক ও গায়ক। তিনি ছিলেন ব্যান্ড দল হ্যাপী টাচ এর অন্যতম সদস্য।
সরগমের ব্যানারে তার প্রথম একক অ্যালবাম লাকী আখান্দ ১৯৮৪ সালে প্রকাশিত হয়। এই অ্যালবামের উল্লেখযোগ্য গানের মধ্যে রয়েছে- ‘আগে যদি জানতাম’, ‘আমায় ডেকোনা’, ‘মামুনিয়া’, ‘এই নীল মনিহার’, ও ‘হৃদয় আমার’।
১৯৫৬ সালে অধুনা ঢাকার পাতলা খান লেনে তার জন্ম। বাবার কাছ থেকে সংগীতে হাতেখড়ি নেন লাকী আখান্দ। তিনি মাত্র ১৪ বছর বয়সে এইচএমভি পাকিস্তানের সুরকার এবং ১৬ বছর বয়সে এইচএমভি ভারতের সংগীত পরিচালক হিসেবে নিজের নাম যুক্ত করেন।
১৯৬৩ থেকে ১৯৬৭ সাল পর্যন্ত টেলিভিশন এবং রেডিওতে শিশু শিল্পী হিসেবে সংগীত বিষয়ক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছেন। ১৯৭৫ সালে লাকী আখান্দ তার ছোট ভাই হ্যাপী আখান্দের একটি অ্যালবামের সঙ্গীতায়োজন করেন। অ্যালবামটিতে লাকী নিজে ‘নীল নীল শাড়ি পরে’ ও ‘হঠাৎ করে বাংলাদেশ’ গানে কণ্ঠ দেন। আর ‘স্বাধীনতা তোমাকে নিয়ে’ ও ‘পাহাড়ি ঝর্ণা’ গানে কণ্ঠ দেন হ্যাপী ও লাকী দুজনে।
১৯৮০ সালে সৈয়দ সালাউদ্দিন জাকী পরিচালিত ঘুড্ডি চলচ্চিত্রের সঙ্গীত পরিচালনা করেন লাকী আখান্দ।
তার উল্লেখযোগ্য প্রকাশিত অ্যালবাম হলো- লাকী আখান্দ (১৯৮৪), পরিচয় কবে হবে (১৯৯৮), বিতৃষ্ণা জীবনে আমার (১৯৯৮), আনন্দ চোখ (১৯৯৯), আমায় ডেকোনা (১৯৯৯), দেখা হবে বন্ধু (১৯৯৯)।
ছোট ভাই হ্যাপী আখান্দ ১৯৮৭ সালে মারা যাওয়ার পর লাকী আখান্দের সঙ্গীতচর্চা বন্ধ হয়ে যায়। বাংলাদেশী জাতীয় রেডিও নেটওয়ার্ক বাংলাদেশ বেতার এর পরিচালক (সংগীত) হিসেবেও কাজ করেছেন তিনি। ১৯৬৯ সালে লাকী আখান্দ পাকিস্তানী আর্ট কাউন্সিল হতে ‘বাংলা আধুনিক গান’ বিভাগে পদক লাভ করেন। দীর্ঘদিন ধরে ফুসফুস ক্যান্সারে ভুগে ২০১৭ সালের ২১ এপ্রিল তিনি মৃত্যুবরণ করেন। আজ শিল্পী লাকী আখান্দের অষ্টম মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধাঞ্জলি।
একুশে সংবাদ/বিএইচ



একুশে সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

