রাজীবপুর উপজেলার কোদালকাটি ইউনিয়নে চর সাজাই গ্রামের রত্না খাতুন নামের এক গৃহবধূকে হত্যা চেষ্টার ঘটনা ঘটছে। গত ২৯ মার্চ রাতে রত্নার স্বামী মন্জুরুল ইসলাম তাকে হত্যার চেষ্টা চালিয়ে মারপিট ও জখম করে। এলাকাবাসী ও থানায় দেয়া লিখিত অভিযোগ সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
থানায় দেয়া লিখিত অভিযোগ ও রত্না খাতুনের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ১১ বছর আগে রত্না খাতুনের সাথে পাশ্ববর্তী গ্রামের মনজুরুল ইসলামের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের জন্য তার উপর নির্যাতন চলে আসছে। যৌতুকের জন্য মাঝেমধ্যেই তাকে মারধর করা হত একারণে বেশিরভাগ সময় বাবার বাড়িতে থাকত রত্না খাতুন।
গত ২৯ মার্চ গভীর রাতে মন্জুরুল কৌশলে রত্নাকে ম্যানেজ করে তার সাথে দেখা করতে যায়,এসময় কথা বলার জন্য বাড়ির বাহিরে নিয়ে গিয়ে রত্নাকে বেদম মারপিট শুরু করে এবং গলায় রশি পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করার চেষ্টা করে পরে তার চিৎকারে স্বজন ও এলাকাবাসী এসে তাকে উদ্ধার করে।
সকালে তাকে চিকিৎসার জন্য রাজীবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে স্বজনরা। ৩০ মার্চ হত্যাচেষ্টার ঘটনায় স্বামী মন্জুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে রত্না একটি অভিযোগ দায়ের করে রাজীবপুর থানায়।
স্ত্রীকে নির্যাতনের বিষয়ে জানার জন্য মন্জুরুল ইসলামের মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে আদালত এবং থানায় মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাকে হয়রানি করা হচ্ছে। সে এখন আর আমার স্ত্রী না। সে অন্যত্র বিয়ে করেছে।
রত্না খাতুন বলেন, ‘আমার বাবা ছিল একজন গরীব মানুষ, আমার বাবা মারা গেছে। আমি যৌতুক দিবো কোথা থেকে, আমি আমার স্বামীর সংসার করতে চাই বলে জানান তিনি।’
একুশে সংবাদ/বিএইচ



একুশে সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

