ব্রেইন টিউমারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর প্রহর গুনছে কেন্দুয়া সরকারি কলেজের এইচএসসি ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী শরীফ। টিউমারটি চোখের পিছন দিয়ে বড় হয়ে আসায় ইতিমধ্যে ডান চোখ বন্ধ হয়ে গেছে। বিশেষজ্ঞ ডাক্তারগণ দিল্লিতে নিয়ে উন্নত চিকিৎসা করালে রোগটি থেকে পুরোপুরি সেরে উঠা সম্ভব বলে মতামত দিয়েছেন। সেখানে চিকিৎসা বাবদ আটলাখ টাকা খরচ হবে। কিন্তু দরিদ্র চা দোকানদার এর পক্ষে এত টাকা জোগাড় করার সামর্থ্য নেই। তাই একরকম বিনা চিকিৎসায় কলেজ ছাত্র শরীফ বিছানায় শুইয়ে কাতরাচ্ছেন।
তার বাড়ি নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার দিগদাইর গ্রামে। বাবা শহীদুল ইসলাম চা দোকানদার এবং মা রোজিনা আক্তার গৃহিনী।
এবিষয়ে শরীফের মা বলেন, নবম শ্রেণিতে পড়ার সময় তার ছেলের ডান চোখের পিছনে কিছু একটা হয়ে চোখ বন্ধ হয়ে আসছে দেখেন। ব্যাথায় কান্নাকাটি করত শরীফ। এমতাবস্থায় চোখের সমস্যা মনে করে কিশোরগন্জ চোখের ডাক্তার আমিনুল ইসলাম আকন্দকে দেখান। সেখানে পরীক্ষা নীরিক্ষা করে এটা চোখের সমস্যা নয় জানতে পেরে তাকে ময়মনসিংহ নিউরো সার্জন অধ্যাপক মোঃ হারুন অর রশীদের কাছে পাঠান। তিনি কিছু চেকআপ করে শরীফকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করাতে পরামর্শ দেন। ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে দেড়মাস ভর্তি থাকার পর ডাক্তাররা জানান এখানে অপারেশন ঝুঁকিপূর্ণ। তাই তাকে ঢাকা ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোলজি (আগারগাঁও, ঢাকা) পাঠান। সেখানকার বিশেষজ্ঞ ডাক্তারগণ এমআরই সহ আরো কিছু পরীক্ষার পর জানান শরীফের টিউমার অপারেশন এদেশে ঝুঁকিপূর্ণ। তাকে দেশের বাইরে কোথাও চিকিৎসা নেয়ার পরামর্শ দেন।
দিল্লি গিয়ে চিকিৎসা করালে শতভাগ সুস্থ হওয়া সম্ভব জানান তারই একজন প্রতিবেশী। সেখানে শরীফের এমআরই রিপোর্টসহ বিভিন্ন কাগজপত্র ওয়াটসঅ্যাপে পাঠালে সেখানকার ডাক্তারগণ তাদের হাসপাতালে চিকিৎসায় শতভাগ সুস্হ হওয়া সম্ভব বলে জানান। পুরো চিকিৎসায় ১৭ লাখ টাকা লাগলেও শরীফকে দরিদ্র ছাত্র হিসেবে ৯ লাখ অনুদান দিয়ে ৮ লাখ টাকায় করে দিবেন সেখানকার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
ইতিমধ্যে হতদরিদ্র বাবার সারাদেশে ঘুরতে ঘুরতে ৩/৪ লাখ টাকা খরচ হয়ে যায়। এতটাকা জোগাড় করার মতো কোনো সামর্থ্য নেই তার বাবা মায়ের। তাই তারা দেশের সকল ধনবান,দানশীল এবং মানবিক মানুষগণের কাছে অর্থ সাহায্য চেয়েছেন। আগ্রহীরা শরীফের পিতা শহীদ ইসলামের মোবাইল নং ০১৯৩৪০৪৮১৭২ (বিকাশ পার্সোনাল ও নগদ পার্সোনাল) এ চিকিৎসার জন্য অর্থ সহায়তা পাঠাতে পারেন।
একুশে সংবাদ// এ.জে



একুশে সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

