• ফুল চাষে স্বাবলম্বী অর্ধশত চাষী
• আড়াই কোটি টাকার ফুল বিক্রির সম্ভাবনা
বিশুদ্ধতার প্রতীক ফুল। চারপাশে প্রতিনিয়ত ফোটে নানা জাতের ফুল। দেশীয় বিভিন্ন নামের পরিচিত ফুলের পাশাপাশি বিদেশী ফুলও এখন দেশের মাটিতে ফোটে। বিভিন্ন দিবস ছাড়াও সারা বছর বিভিন্ন আনন্দ আয়োজনে ফুলের চাহিদা থাকে ব্যাপক।
এদিকে সামনে কড়া নাড়ছে পহেলা ফাল্গুণে বসন্তবরণ, বিশ্ব ভালোবাসা দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস অমর একুশে ফেব্রুয়ারি। এদিকে এই তিন দিবসকে ঘিরে ফুল বাগানের পরিচর্যা ও ফুল কেটে বাজারে ও স্থানীয় পাইকারদের কাছে বিক্রিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন মানিকগঞ্জের সিংগাইরের ফুল চাষিরা। ঢাকার বিভিন্ন মার্কেটে গোলাপসহ সকল ফুলের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় দামও বেড়েছে প্রায় চারগুণ । এতে বেশি লাভের আশায় ফুল চাষীদের মুখে হাসি ফুটেছে।

উপজেলার ধল্লা ইউনিয়নের ফোর্ডনগর, জয়মন্টপের ভাকুম, শায়েস্তা ইউনিয়নের নীলটেক, তালেবপুর ইউনিয়নের ইরতা, নতুন ইরতা এলাকায় মোঃ বাবুল, খালেক, সারাক, রুবেল, সিরাজুল ইসলাম, আবু সাইদ, ফজলুল হক, সিরাজ বেপারী, মো শাহিনুর রহমান, শফিকুল ইসলামসহ প্রায় ২০জন চাষী বাণিজ্যিকভাবে ফুলচাষ করে থাকে।
বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সরেজমিনে সিংগাইর উপজেলার বিভিন্ন ফুলের দোকান ঘুরে দেখা যায়, প্রতিটি দেশি গোলাপ ৪০-৫০, জারবেরা ৫০-৬০, গ্লাডিওলাস ২৫-৩০, রজনীগন্ধা ১০-১৫ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। তবে উৎসব যত ঘনিয়ে আসছে ফুলের দাম ততই বৃদ্ধি পাচ্ছে।
কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় ২০ জন তালিকাভুক্ত চাষী এবছর বাণিজ্যিকভাবে প্রায় ২০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন প্রজাতির ফুলের চাষ করেছে। সামনের তিনটি দিবসসহ এবছর প্রায় আড়াই কোটি টাকার ফুল বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। এছাড়াও সারা বছরে অভ্যন্তরীণ ফুলের বাজারে ফুল বিক্রি টাকার অংকে আরো বাড়তে পারে বলেও জানান তারা ।
.jpg)
ফোর্ডনগর এলাকার ফুল চাষী বাবুল হোসেন জানান ,
তিনি প্রায় ১৮ বছর যাবৎ ফুল চাষ করেন। এ বছর তিনি ৩০ বিঘা জমিতে চায়না গোলাপসহ বিভিন্ন জাতের ফুল চাষ করেছেন। প্রতি মাসে ৬-৭ লাখ টাকা ফুল বিক্রি করেন। খরচ বাদে ১ থেকে দেড় লাখ টাকা তার মাসে আয় থাকে। ফুল চাষ করে এখন তিনি স্বাবলম্বী বলে জানান। তিনি আরো জানান- কীটনাশকের দাম বৃদ্ধি ও পরিচর্যার খরচ বেড়ে যাওয়ায় আগের থেকে লাভের পরিমাণ কমে গেছে।
সিংগাইর উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ হাবিবুল বাশার চৌধুরী বলেন, ‘এখানকার ফুল অভ্যন্তরীণ বাজারের চাহিদা মেটাতে বড় ভূমিকা রাখে। এখানকার মাটি ফুল চাষের জন্য উপযোগী হওয়ায় ব্যাপক হারে ফুল উৎপাদন হয়ে থাকে। এছাড়া ফুল চাষীদের যাবতীয় বিষয়ে সহযোগিতা করা হয় বলেও তিনি জানান।’
একুশে সংবাদ/বিএইচ



একুশে সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

