মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে প্রতিপক্ষের হামলায় গুরুতর আহত সৌদি প্রবাসী সৈকত মাহমুদ (২২) মারা গেছেন। হামলার ঘটনার ১২ দিন পর রোববার দিবাগত রাতে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
নিহত সৈকত মাহমুদ চিত্রকোট ইউনিয়নের খালপাড় গ্রামের মৃত ফজল হকের ছেলে।
জানা গেছে, গত ১৫ জানুয়ারি চিত্রকোট ইউনিয়নের খালপাড়া এলাকায় পারিবারিক দ্বন্দ্বের জের ধরে খালপাড়া গ্রামের হেলাল বেপারীর ছেলে কাদের বেপারীর সাথে একই এলাকার মৃত ফজল হকের ছেলে সৈকত মাহমুদের মারামারির ঘটনা ঘটে। এ সময় প্রতিপক্ষ ধারালো অস্ত্রের আঘাতে সৈকত মাহমুদকে কুপিয়ে জখম করে। স্বজনরা ওইদিন আহত সৈকত মাহমুদকে প্রথমে পঙ্গু হাসপাতাল, পরে ধানমন্ডি পপুলার হাসপাতালে ভর্তি করে। অবশেষে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১২ দিন পর গত রোববার দিবাগত রাতে সৈকত মাহমুদ মারা যান।
নিহত সৈকত মাহমুদের বড় ভাই জহিরুল হক বলেন, আমার ভাই মাত্র ২০ দিন আগে সৌদি আরব থেকে ছুটিতে বাড়ি আসে। কাদের বেপারীর নেতৃত্বে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আমার ভাইকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
চিত্রকোট ইউপি চেয়ারম্যান শামসুল হুদা বাবুল বলেন, তাদের উভয়পক্ষের বাড়ি একই গ্রামের একই সীমানায়। পারিবারিক দ্বন্দ্বের জেরে এ ঘটনা ঘটেছে।
সিরাজদিখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার হাফিজুর রহমান জানান, এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই জহিরুল হক জহির বাদী হয়ে রোববার রাতে কাদের বেপারীকে এক নম্বর আসামি করে পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।
একুশে সংবাদ/বিএইচ



একুশে সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

