রাজশাহীর তানোর উপজেলার মুন্ডুমালা বালিকা স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিভিন্ন বিষয়ে ১২ জন শিক্ষক রয়েছেন। আর শিক্ষার্থী মাত্র একজন। কিন্তু এ বছর এইচএইসি পরীক্ষায় কলেজটি থেকে ওই একটিমাত্র ছাত্রী পরীক্ষা দেন। মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) এইচএসসি ফলাফল ঘোষণায় সেও ফেল করায় এ নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০০২ সালে কলেজটি স্থাপিত হয়। কলেজটি প্রতিষ্ঠার শুরুতে বেশ নাম ডাক ছিল। লেখাপড়ার মানও ভালো ছিল। বর্তমানে কলেজটির শিক্ষার মান তলানিতে ঠেকেছে। অধ্যক্ষ অবসরে যাওয়ায় কয়েক বছর ধরে প্রতিষ্ঠানটি চলছে ‘ভারপ্রাপ্ত’ দিয়ে। কলেজে ঠিকমতো না আসার অভিযোগ রয়েছে শিক্ষকদের বিরুদ্ধে। কলেজটিতে ১২ জন শিক্ষক ও চারজন কর্মচারী রয়েছেন। আছে দ্বিতল ভবনও।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন অভিভাবক বলেন, কলেজটির এলাকায় নাম ডাক ভালো ছিল। শিক্ষকরা ছাত্রীদের ভালো শাসন করতেন তাই চলতি বছর তারা তাদের মেয়েদের ভর্তি করেছিলেন কিন্তু এমন ফলে তারা হতবাক।
এ বিষয়ে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সাদিকুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘ ২২ বছর ধরে বেতন ভাতা পান না শিক্ষকরা। ১২ জনের মধ্যে গড়ে ৪ থেকে ৫ জন শিক্ষক নিয়মিত অফিস করেন। বাকিরা অন্য জায়গায় চলে গেছেন। এমপিওর অপেক্ষায় আমরা ক্লান্ত। নিয়মিত শিক্ষক না আসায় অভিভাবকরা শিক্ষার্থী ভর্তি করাতে চান না। চলতি বছর একজন পরীক্ষা দিয়েছিল। কি কারণে পাস করতে পারে নি সেটা বুঝতে পারছি না। তবে এ বছর কলেজে ১১ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছে।
তানোর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মিনহাজুল ইসলাম বলেন, কলেজটি থেকে মাত্র একজন পরীক্ষা দিয়েছিল। তবুও ফেল করেছে-বিষয়টি দুঃখজনক। বিষয়টি উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে দেখতে বলবো।
রাজশাহী মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডে এইচএসসিতে পাসের হার ৮১ দশমিক ২৪ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছেন ২৪ হাজার ৯০২ জন শিক্ষার্থী। গত বছর এ বোর্ডে পাসের হার ছিল ৭৮ দশমিক ৪৬ শতাংশ।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :