পিরোজপুরের কাউখালীতে সবজিসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যর দাম দিন দিন পাগলা ঘোড়ার মত লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে, দিশাহারা ক্রেতারা।
শনিবার (১৫ জুন) উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে একশ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ীরা ঘূর্ণিঝড়ের অজুহাত দেখিয়ে প্রতিটি নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যসহ সবজির দাম বাড়িয়ে বিক্রি করছে, ফলে সাধারণ ক্রেতারা বাজার করতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে আবার অনেকে বাধ্য হয়ে কোন কিছু না কিনে বাজার থেকে খালি ব্যাগ নিয়ে বাড়ি ফিরছে।
উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজারে ১ কেজি কাঁচা মরিচ ৪০০ টাকা, কাকরোল ১০০ টাকা, করলা ৮০ টাকা, কচুর ঘাটি ১০০ টাকা, কচুর লতি ৭০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, গাজর ১৮০ টাকা, পাতাকপি ৬০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৪০ টাকা, পেঁপে ৫০ টাকা, বেগুন ৮০ টাকা, মূলা ৬০ টাকা, শশা ৯০ টাকা, পটল ৫০ টাকা, ঝিঙ্গা ৬০ টাকা, আলু ৬০ টাকা, রেহা ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
বাজার করতে এসে দিনমজুর আবুল বাশার বলেন আমাদের মত খেটে খাওয়া মানুষের পক্ষে বাজার করা আর সম্ভব না। বাজারে যেভাবে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়ছে তাতে আমাদের না খেয়ে থাকা ছাড়া আর কোন উপায় নেই। কাউখালী দক্ষিণ বাজারের কাঁচামাল ব্যবসায়ী আলামিন হোসেন ও কাঁচামাল ব্যবসায়ী বিশ্বজিৎ রায় জানান, বন্যার কারণে দেশীয় কোন কাঁচামাল বাজারে আসে না, এখন শুধু যশোর থেকে কাঁচামাল আসে তাই মাল আনা খরচ সহ ক্রয় খরচ বেশি হওয়ার কারণে আমরা বাধ্য হয়ে কাঁচামাল বেশি দামে বিক্রি করছি, তাতে আমাদের সামান্য লাভ হয়।
এদিকে ফার্মের ডিম প্রতিহালি ৫৫ টাকা, প্রতি কেজি পেয়াজ ৮০ টাকা, রসুন ২২০ টাকা, তিনি ১৩৫ টাকা, মসুরি ডাল ১৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে এবং মসলার দাম উর্ধ্বগতি। সংবাদকর্মী মাসুম বিল্লাহ বলেন, বাজার এখন এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ীদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে। ক্রেতারা বলেন বাজার মনিটরিং ব্যবস্থা দুর্বল হওয়ার কারণে বাজারদর বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ ব্যাপারে কাউখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সজল মোল্লা বলেন, যদি কোন ব্যবসায়ী ইচ্ছাকৃতভাবে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়িয়ে বিক্রি করে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হইবে এবং বাজার মনিটরিং জোরদার করা হচ্ছে।
একুশে সংবাদ/ব.আ.প্র/জাহা



একুশে সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

