AB Bank
ঢাকা সোমবার, ০৬ মে, ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

থানচিতে কেএনএফের সঙ্গে পুলিশ-বিজিবির ব্যাপক গোলাগুলি


Ekushey Sangbad
জেলা প্রতিনিধি,বান্দরবান
০৯:৩৯ পিএম, ৪ এপ্রিল, ২০২৪
থানচিতে কেএনএফের সঙ্গে পুলিশ-বিজিবির ব্যাপক গোলাগুলি

বান্দরবানের থানচিতে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) সন্ত্রাসীদের সঙ্গে পুলিশ ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের সদস্যদের গোলাগুলি চলছে বলে খবর পাওয়া গেছে।

বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) রাত পৌনে ৯টার দিকে থানচির বাজার সংলগ্ন এলাকায় গোলাগুলি শুরু হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে থানচি বাজার কমিটির সভাপতি ও থানচি উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান খামলাই ম্রো জানান, থানচি এলাকায় এখন বিদ্যুৎ নেই। ঘোর অন্ধকারের মধ্যে বাজার এলাকায় প্রচণ্ড গোলাগুলি হচ্ছে।

থানচি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মামুন জানান, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে আটটা থেকে থানচি বাজার ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এলাকায় কেএনএফের সঙ্গে পুলিশ ও বিজিবির ব্যাপক গোলাগুলি চলছে।

এর আগে বিকেল থেকে মুন্নমপাড়া, আত্তাপাড়া সীমান্তবর্তী এলাকায় কেএনএফের সঙ্গে যৌথবাহিনীর কয়েক দফা গোলাগুলি হয়।

এদিকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ৭টার দিকে র‌্যাবের মধ্যস্ততায় রুমার সোনালী ব্যাংকের অপহৃত ম্যানেজার নেজাম উদ্দীনকে উদ্ধার করা হয়।

গত মঙ্গলবার রাত নয়টার দিকে পাহাড়ের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) ৭০ থেকে ৮০ জনের একটি সশস্ত্র দল সোনালী ব্যাংকের রুমা শাখায় হামলা চালায়।

সন্ত্রাসীরা ব্যাংকের পাহারায় থাকা পুলিশ ও আনসারদের আটটি চায়নিজ রাইফেল, দুটি এসএমজি, চারটি শটগান ও ৪১৫ট রাউন্ড গুলি ছিনিয়ে নেয়।

এরপর কাছের মসজিদেই প্রবেশ করে কেএনএফের সন্ত্রাসীরা। সেখান থেকে তারাবির নামাজে থাকা ব্যবস্থাপক নেজাম উদ্দিনকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।

এরপর বুধবার দুপুরে থানচি উপজেলায় সোনালী ও কৃষি ব্যাংকের দুটি শাখায় হামলা চালিয়ে ডাকাতি করে সন্ত্রাসীরা।

সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে গুলি চালাতে চালাতে ব্যাংক দুটির শাখায় প্রবেশ করে। সেখান থেকে নগদ টাকা, ব্যাংকে কর্মরতদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয় তারা।

কেএনএফ সন্ত্রাসীরা নিজেদের অবস্থান জানান দিতেই এসব ঘটনা ঘটিয়েছে বলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এরইমধ্যে জানিয়েছেন।

পাহাড়ে কেএনএফের আস্তানায় জঙ্গি সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্কীয়ার সদস্যরা সশস্ত্র প্রশিক্ষণ নিয়েছিলো বলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এর আগে গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলো।

সেই আস্তানায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী গত বছর অভিযান চালিয়ে জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্কীয়া ও কেএনএফের বেশ কয়েকজন সদস্যকে গ্রেপ্তার করে।

কেএনএফ সদস্যদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্যশৈহ্লা মারমার নেতৃত্বে ‘শান্তি প্রতিষ্ঠা’ কমিটি গঠন করা হয় গত বছরের মে মাসে। ওই কমিটির সঙ্গে গত ৫ মার্চ দ্বিতীয় দফা বৈঠক হয় বেথেলপাড়ায়। রুমার উপজেলা পরিষদ বেথেলপাড়ার কাছেই অবস্থিত।

এদিকে চুক্তিভঙ্গ করে সশস্ত্র কার্যক্রম অব্যাহত রাখায় কেএনএফের সঙ্গে সব ধরনের আলোচনা স্থগিত করার ঘোষণা দিয়েছে শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির আহ্বায়ক ও বান্দরবান জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লা।
 


একুশে সংবাদ/চ.ট.প্র/জাহা

 

Link copied!