AB Bank
ঢাকা মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

আইসক্রীম খাওয়ার অপরাধে তিন শিশুকে হাঁতুড়ি দিয়ে ৬ ঘণ্টা নির্যাতন


আইসক্রীম খাওয়ার অপরাধে তিন শিশুকে হাঁতুড়ি দিয়ে ৬ ঘণ্টা নির্যাতন

আইসক্রীম খাওয়ার অপরাধে ফাহিম (১০), আবদুল্লা (৯) ও ইমাম (৭) নামের তিন শিশুকে শিকল দিয়ে বেঁধে নির্যাতন করা হয়েছে। 


সোমবার (২৫ মার্চ) রাত সাড়ে ৮টার দিকে ওই তিন শিশুকে উদ্ধার করে বাউফল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এনে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। পুলিশ ঘটনার সাথে জড়িত দোকান মালিক আনোয়ারকে (৪৫) আটক করেছে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও অন্যান্য সূত্রে জানা গেছে, পটুয়াখালীর বাউফলের মদনপুর ইউনিয়নের মৃধার বাজারে একই ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের  শাহিন হোসেনের ছেলে ফাহিম (১০), শহিদুল ইসলামের ছেলে আবদুল্লাহ (৯) ও হালিম মুন্সীর ছেলে ইমাম হোসেন সোমবার দুপুর আড়াইটার দিকে ওই বাজারে গিয়ে আনোয়ার স্টোরের ফ্রিজ থেকে না বলে ৩০ টাকা দামের তিনটি আইক্রিম খান।

দোকান মালিক আনোয়ার ঘটনাটি দেখতে পেয়ে ওই তিন শিশুকে তার দোকানে খুটির সাথে শিকল দিয়ে বেধে তালা লাগিয়ে রাখেন এবং আইক্রিম খাওয়ার অপরাধে তাদেরকে লোহার রড ও হাঁতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে জখম করেন। এ অবস্থায় রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত ৬ ঘন্টা তাদেরকে শিকল দিয়ে বেধে তালা মেরে রাখা হয়। পরে ওই শিশুদের বাবা –মা ও স্বজনরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদেরকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য বাউফল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন।


ওই তিন শিশুর মধ্যে ফাহিম ও আবদুল্লাহ স্থানীয় তানজিমুল উলুম হাফেজি মাদ্রাসার ছাত্র। ফাহিম ৩ পাড়া ও আবদুল্লাহ দু পাড়া কোরআন মুখাস্ত করেছেন। আর ইমাম হোসেন ক্লাস ওয়ানে পড়েন। সে সম্পর্কে আবদুল্লাহর ভাগ্নে হন।

শিশু আবদুল্লাহর মা রুনু বেগম অভিযোগ করেন, ঘটনা শোনার পর তিনি মৃধার বাজারে গিয়ে তার ছেলে ও নাতিসহ ফাহিমে ছেড়ে দেয়ার জন্য দোকানী আনোয়ারকে অনুরোধ করলেও তিনি শুনেননি। বরং তাকে গালমন্দ করেছেন। এরপর স্থানীয় লোকজন জড়ো হয়ে প্রতিবাদ করলে আনোয়ার শিকলের তালা খুলে দেন।

নির্যাতনের শিকার শিশু ফাহিম বলেন, তারা তিন জন মাদ্রাসা থেকে বেড় হয়ে হাঁটতে হাঁটতে মৃধার বাজারে যান। সেখানে আনোয়ার স্টোরে গিয়ে দোকানীকে না পেয়ে তার ফ্রিজ থেকে ৩০ টাকা মূল্যের তিনটি আইক্রিম নেন।

তার দোকোনের সামনে বসেই তারা আইক্রিম খাচ্ছিলেন। এমন সময় আনোয়ার হোসেন এসে তাদের চড়থাপ্পড় মারে। এরপর শিকল দিয়ে তাদেরকে বেধে দোকানের খুঁটির সাথে তালা মেরে রাখে। অনেক আকুতি মিনতি ও কান্নাকাটি  করলেও তিনি আমাদের ছাড়েননি। বরং লোহার রড ও হাঁতুড়ি দিয়ে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় পিটিয়েছেন। আমরা ব্যথায় কান্না কাটিন করেছি। তারপরেও তিনি আমাদেরকে ছাড়েননি। এভাবে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত আমাদেরকে বেধে রাখা হয়। পরে আমাদের বাবা-মা এসে আমাদেরকে ছাড়িয়ে নেন।

এ ব্যাপারে মদনপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গোলাম মস্তফা বলেন, আমি অসুস্থ । খবর পেয়ে ৫নং ওয়ার্ডের চৌকিদার সাইদুল ইসলামকে ঘটনাস্থলে পাঠাই বাচ্চাদেরকে ছেড়ে দেয়ার জন্য । কিন্তু দোকানী তার কথা শুনেননি। চৌকিদার আমাকে জানানোর পর আমি মোবাইল ফোনে আনোয়ারের সাথে কথা বলি ওই বাচ্চাদের ছেড়ে দেয়ার জন্য। কিন্তু তিনি আমার কথাও শুনেননি। পরে স্থানীয় লোকজন ও পুলিশ গিয়ে ওই শিশুদের উদ্ধার করে।

এ ব্যাপারে বাউফল থানার ওসি শোনিত কুমার গায়েন বলেন, আমি বিষয়টি জানার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। জড়িত দোকানী আনোয়ারকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।

 

একুশে সংবাদ/বিএইচ

Link copied!