ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই গ্রাম বাসীর মাঝে সংঘর্ষে নারী পুরুষ সহ উভয় পক্ষের কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ভাঙ্গা উপজেলার হামিরদি ইউনিয়নের মনসুরাবাদ ও খাপুরা গ্রামের মাঝে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরে খাপুরা গ্রামের পক্ষ নেন মাঝিকান্দা ও সিঙ্গাড়িয়া গ্রাম।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, মনসুরাবাদ ও খাপুরা গ্রামের কয়েকজন শিশুরা ইফতার নিয়ে তাদের মাঝে হাতাহাতি হয়। সেই জের ধরে সালিশরা এগিয়ে গেলে ২ গ্রাম বাসীর মুরুব্বিরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। মনসুরাবাদ গ্রামের নেতৃত্ব দেন আলী মোরশেদ মিঠু ও খাপুরা গ্রামের নেতৃত্ব দেন শেখ জুয়েল। এরা উভয়পক্ষ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র ঢাল সরকি টেটা ও ইট পাটকেল নিয়ে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া চালায়। তখন খাপুরা গ্রামের পক্ষ নিয়ে সংঘর্ষে জড়ান মাঝিকান্দা ও সিংগাড়িয়া গ্রামের লোকেরা। এভাবে প্রায় ঘন্টাখানে সময় ধরে চলে সংঘর্ষ। তখন উভয় পক্ষের কমপক্ষে ১৫ থেকে ২০ জন লোক আহত হয়েছে। আহত পাঁচজনকে ভাঙ্গা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।অন্যদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। গুরুতর আহত মওদুদ শেখ ও ইমরান হোসেনকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রিফার্ট করা হয়েছে বলে ভাঙ্গা হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান। খবর পেয়ে ভাঙ্গা থানা পুলিশ ব্যাপক লাঠিচার্জ করে উভয়পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করে দেন।
এ বিষয়ে ভাংগা থানার সেকেন্ড অফিসার মারুফ হোসেন জানান, পূর্বের শত্রুতা ও আধিপত্য বিস্তার নিয়েই সংঘর্ষ ঘটে। এ সময় কয়েকজন ইট পাটকেলে আহত হয়েছেন। বর্তমান পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন রয়েছে। এখনো কোনো পক্ষের অভিযোগ পাওয়া যায় নাই। পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
একুশে সংবাদ/এস কে
আপনার মতামত লিখুন :