AB Bank
ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

কুড়িগ্রামে ৩২ বছর বয়সেও ‘শিশু’ সমীর


Ekushey Sangbad
জেলা প্রতিনিধি,কুড়িগ্রাম
০৪:০৪ পিএম, ৬ মার্চ, ২০২৪
কুড়িগ্রামে ৩২ বছর বয়সেও ‘শিশু’ সমীর

কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে যুবক সমীর ৩২ বছর বয়সেও দেখতে শিশুর মতো। শিশুদের সঙ্গে হেসে খেলেই দিন কাটে তার। এই শিশু আছর উদ্দিনকে নিয়ে বিপাক পড়েছে তার পরিবার। কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার তিলাই ইউনিয়নের আজিম উদ্দিন ও আছিয়া দম্পত্তির ছেলে আছর উদ্দিন। জাতীয় পরিচয়পত্রে নাম আছর উদ্দিন নাম থাকলেও গ্রামের মানুষ শিশু সমীর বলে চেনেন।

বর্তমানে সমীরের বয়স ৩২ বছর। তবে শরীরের গঠন এবং চলাফেরা ঠিক শিশুর মতোই। বয়স বাড়লেও বাড়েনি তার উচ্চতা, বিকশিত হয়নি মন মানসিকতারও। সংসার তার কাছে এখনো অচেনা।

সারাদিন ছোট ছেলে মেয়েদের সঙ্গে খেলাধুলা করে কাটছে সমীরের জীবন। শিশু বয়সী আচরণে বাবা মা আছেন দুশ্চিন্তায়। চিকিৎসা করার পরও শরীর ও মনের পরিবর্তন না হওয়ায় তাকে নিয়ে চিন্তার শেষ নেই স্বজনদের।

স্বজনরা জানান, সমীর উদ্দিনের জন্ম ১৯৯২ সালে। তিনি দিনমজুর আজিম উদ্দিন ও আছিয়া বেগমের প্রথম সন্তান। সংসারে তিন ভাই বোনের মধ্যে তিনি বড়। ছোট ভাই-বোন বিয়ে করে সংসার করছেন অথচ সমীর এখনো শিশু। তার দেহের বয়স আর মনের বয়স যেন এক ফ্রেমে বন্দি।

সমীর উদ্দিনের মা আছিয়া বেগম বলেন, সমীর জন্মের পর থেকে এমন। তাকে নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি। ওর বয়স ৩২ বছর হলেও সে কিছু বোঝে না। সংসার বিয়েশাদি আত্মীয় স্বজন কোনো কিছু বোঝে না। সারাদিন ছোট ছেলেমেয়ের সাথে খেলাধুলা করে। রাগ উঠলে ছোট মানুষের মত আচরণ করে। অনেক চিকিৎসা করেও কোনো ফল পাই নাই। আমরা মরে গেলে ওর জীবন কেমনে চলবে আল্লাহ জানে।

সমীরের প্রতিবেশী আকবর আলী বলেন, সমীররের বয়স যখন পাঁচ বছর তখন থেকে দেখি শরীরে কোনো পরিবর্তন নেই। ওর ছোট ভাই বিয়ে করে কর্মজীবন শুরু করছেন। সমীরের তো কিছু হলো না।

তিনি বলেন, তার বাবা মা গরীব। একটা ঘরের মধ্যে বাবা মা সবাইকে নিয়ে থাকেন। গ্রামের মানুষ আমরা যতটা পারি সাহায্য করি। সরকারিভাবে কোনো সহযোগিতা করলে হয়তো সমীর ভালো থাকতে পারবে।

কুড়িগ্রামের সাবেক সিভিল সার্জন এস এম আমিনুল ইসলাম বলেন, এটি মূলত খর্বাকৃতির বাচ্চা। যাকে স্ট্যানডিং বেবি বলা হয়। মূলত পুষ্টির অভাবের কারণে জন্মগতভাবে এমন সন্তানের জন্ম হয়।

জন্মের পর থেকে যদি সন্তানটির সঠিক চিকিৎসা করা যায় তাহলে কিছুটা পরিবর্তন আনা সম্ভব। বিশেষ করে গর্ভবতী মা ও শিশুর সঠিক পরিচর্যা, আয়োডিনযুক্ত ও পুষ্টিকর খাবার খাওয়ানো হলে খর্বাকৃতি বাচ্চা হওয়ার সম্ভাবনা অনেক কম থাকে।

 

একুশে সংবাদ/ন.দ.জে/সা.আ

Link copied!