AB Bank
ঢাকা বুধবার, ০১ মে, ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে অনুমোদনহীন প্রসাধনী ও শিশু খাদ্যের  কারখানার  সয়লাভ,  সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব


Ekushey Sangbad
জেলা প্রতিনিধি, কিশোরগঞ্জ
০৪:৪৬ পিএম, ১৮ জানুয়ারি, ২০২৪
অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে অনুমোদনহীন প্রসাধনী ও শিশু খাদ্যের  কারখানার   সয়লাভ,  সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব

কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের বাজারগুলোতে ও পৌর শহরের বিভিন্ন এলাকায়  অনুমোদনহীন প্রসাধনী ও শিশু খাদ্য কারখানা গড়ে উঠেছে । 

এসব কারখানার পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিএসটিআইয়ের অনুমোদন না থাকলে ও দেদারছে  তৈরী হচ্ছে  নিম্ন মানের  গোসলের, হাত ধোয়াঁর সাবানও ডিটারজেন্ট পাউডার, শিশু খাদ্য ঝাল মুড়ি চিপস ।

 প্রশাসনের নজরদারি না থাকায় এসব কারখানার উৎপাদিত প্রসাধনী ও খাদ্য খেয়ে মানবদেহে বিভিন্ন ধরনের রোগ বালাইসহ পেটের পীড়া দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছেন এলাকাবাসী।

 নামে-বেনামে যত্রতত্র এসব কারখানার পণ্য বিক্রি করে কারখানার মালিকরা লাভবান হলেও সরকার হারাচ্ছে বিপুল পরিমান রাজস্ব । পাশাপাশি ভোক্তারা  হচ্ছে প্রতারিত  । 

সরেজমিনে কুলিয়ারচরের বাজরা, আগরপুর, দাড়িয়াকান্দি, গোবরিয়া আবদুল্লাহপুর ইউনিয়নের জাফরাবাদ মোড়ে ঘুরে দেখা গেছে বেশ কয়েকটি কারখানায় সাবান ও শিশু খাদ্য তৈরী করে বাজারজাত করছে দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে ।

 এছাড়া আগরপুর বাসষ্ট্যান্ড সংলগ্ন রাফি সোপ নামে একটি সাবান ও ডিটারজেন্ট কারখানার উৎপাদিত এসব পণ্য দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় বিক্রি করে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা । কিন্ত সাবান তৈরীতে কোন কারখানায় কেমিষ্ট নেই । শুধু তাই নয় অনেকেই আবার একটি পণ্যের জন্য বিএসটিআইয়ের অনুমোদনের জন্য আবেদন করে তারা একাধিক পণ্য তৈরী করে শুভঙ্করের ফাকিঁ দিচ্ছে । 

গোবরিয়া আবদুল্লাহপুরের জাফরাবাদ মোড়ে অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশে মানিক মিয়ার কারখানায় তৈরী হচ্ছে ঝালমুড়ি ও চিপস ।  এসব কারখানার উৎপাদিত প্রসাধনী ও শিশু খাদ্য  দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় এসব বিক্রি করে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা ।

নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এলাকাবাসিরা জানান, এসব কারখানার সাবান ব্যবহার করে শরীরে চুলকানি হয় । হাতের চামড়া খসখস করে । আর শিশু খাদ্য খেয়ে প্রায়ই শিশুরা পেটেরপীড়াসহ নানা অসুখে ভোগে । তাই এসব কারখানার মালিকদের বিরুদ্ধে যেন প্রশাসন কঠোরভাবে আইনগত ব্যবস্থা নেয় ।

 এ বিষয়ে মানিক মিয়া জানান, আমার ঝালঁমুড়ি ও চিপস তৈরী করতে আমাকে কুলিয়ারচর উপজেলা স্যানিটারী ইন্সপেক্টর আবুল কাসেম সহায়তা করেন । আমার  বিএসটিআইয়ের কোনো অনুমোদন নাই ।

এ বিষয়ে কুলিয়ারচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা আলম জানান, তদন্ত সাপেক্ষে  প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে ।

 

একুশে সংবাদ/বিএইচ

Link copied!