ঢাকার ধামরাইয়ে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে তিনজনকে কুপিয়ে জখমসহ মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ঘটনায় তদন্ত চলছে বলে শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) নিশ্চিত করেন ধামরাই থানার কাওয়ালীপাড়া বাজার পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ (ওসি) ইন্দ্রজিৎ মল্লিক।
গত ১০ নভেম্বর উপজেলার বালিয়া ইউনিয়নের রামরাবন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। সেদিনই ভুক্তভোগীদের পক্ষে ধামরাই থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন দিলিপ কুমার দাস সেতু (৩৫)।
অভিযুক্তরা হলেন- বালিয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আহাম্মাদ হোসেন (৬৫), রাশেদ আহমেদ (৩৫), শহিদুল, নবীন ও নাজিমুদ্দিনসহ ২০-২৫ জন। ভুক্তভোগীরা হলেন- দিলিপ কুমার দাস সেতু (৩৩), বিদ্যুৎ চন্দ্র মনি দাস (৪২), বীরবল চন্দ্র মনি দাস (৪০) ও ডালিম রানি দাস (৫৫)। উভয়পক্ষই বালিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, পূর্ব শত্রুতার জেরে দীর্ঘদিন ধরেই অভিযুক্তরা ভুক্তভোগীদের হুমকিধমকি দিয়ে আসছিল। গত ১০ নভেম্বর সকাল ১০টার দিকে অভিযুক্তরা লাঠিসোটা, রড, দা, চাপাতিসহ দেশিয় অস্ত্রসস্ত্রসহ ভুক্তভোগীর রামরাবন মৌজার আরএস ৪৮১ দাগের ১৮ শতাংশ জমিতে ঢুকে গাছ কেটে নেয় ও জমির সীমানা খুঁটি ভেঙে ফেলে। ভুক্তভোগীরা বাঁধা দিতে গেলে তাদের মারধর করা হয়। এরমধ্যে বীরবলের পায়ে কোপ দিয়ে জখম করা হয়। এছাড়া অন্যদেরও মারধর করে জখম করা হয়। স্থানীয়রা এগিয়ে এসে তাদের উদ্ধার করলে অভিযুক্তরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
অভিযুক্ত আহম্মদ হোসেনের সাথে মুঠোফোন যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে মোবাইল ফোনে কথা বলতে পারছি না।
এ বিষয়ে ওসি ইন্দ্রজিৎ মল্লিক বলেন, একটি অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগকারীর সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি আদালতে মামলা করবেন বলে জানান।
একুশে সংবাদ/বিএইচ