শেরপুরের নকলায় প্রেম করে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ৭ম শ্রেণির এক স্কুল শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে ১০ম শ্রেণির এক স্কুল শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত স্কুল শিক্ষার্থী তারেক মিয়ার (১৭) বাড়ি পাঠাকাটা ইউনিয়নের পাঠাকাটা গ্রামে। তার পিতার নাম মোবারক হোসেন। তারেক পাঠাকাটা উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
ভিকটিমের (১৪) বাড়ি একই উপজেলার পার্শ্ববর্তী ইউনিয়নে। সে স্থানীয় একটি উচ্চ বিদ্যালয়ে ৭ম শ্রেণিতে লেখাপড়া করে।
বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হলে রবিবার (২ নভেম্বর) বিকেলে তারেক ভিকটিমের বাড়ির কাছাকাছি এলে স্থানীয়রা তারেককে আটক করে পুলিশে খবর দেয়। রাতে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তারেককে আটক করে থানায় নিয়ে যায় এবং ভিকটিমকে পুলিশি হেফাজতে নেয়।
ভিকটিমের পারিবারিক সূত্রে জানা যায় ভিকটিমের বাবা পেশায় দিনমজুর। বেশ কিছুদিন ধরে অসুস্থ্যতাজনিত কারণে সে শয্যাশায়ী। মাস তিনেক আগে তারেক ভিকটিমদের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। পরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে সম্প্রতি ভিকটিমকে ধর্ষণ করে তারেক। এরপর থেকে ভিকটিমের সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয় তারেক। বিষয়টি জানাজানি হলে ভিকটিমের পরিবার ও স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়। রবিবার (২ নভেম্বর) তারেক ভিকটিমের বাড়ির কাছাকাছি এলে স্থানীয়রা তারেককে আটক করে পুলিশে খবর দেয়।
নকলা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল কাসেম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান এ্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।
একুশে সংবাদ/এ.জে



একুশে সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

