AB Bank
ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

কৃষকের ’খড়ের হাট’ দেওয়ানগঞ্জ বাজারে


কৃষকের ’খড়ের হাট’ দেওয়ানগঞ্জ বাজারে

ময়মনসিংহের নান্দাইলে ঐতিহ্যবাহী  দেওয়ানগঞ্জ বাজারে বসেছে খড়ের হাট। প্রতিদিন এই বাজার থেকে খড় কিনছেন গৃহস্থরা। চাহিদা বেশি থাকায় আগের তুলনায় খড়ের দামও বেড়ে গেছে।বেড়েছে খড়ের কদর।

আশ্বিন,কার্তিক ও অগ্রহায়ণ এই তিনমাস চলে খড় বিক্রি। হাতের কাছেই গো-খাদ্যের বাজার বসায় খুশি ক্রেতারাও। প্রতি আটি খড় বিক্রি হচ্ছে ২শ থেকে ৩শত টাকা দরে।  গৃহস্থের চাহিদা অনুযায়ী বিক্রেতারা খড় বিক্রি করছেন।

স্থানীয়রা এই বাজারকে কৃষকের খড়ের হাট বলে ডাকেন।গরুর খামারী,গৃহস্থ আসেন গরুর খাদ্য খড় ক্রয় করতে। প্রতিদিন দুর দুরান্ত থেকে আসছেন হাটে। বিক্রি হচ্ছে ভালো। ভীড় করছেন ক্রেতা। দাম বেশি পেয়ে খুশি খড় বিক্রেতা। খড় বিক্রি করে লাভবান তারা।

সোমবার (৩০ অক্টোবর) বিকালে সরেজমিন দেখা গেছে, স্থানীয় দেওয়ানগঞ্জ বাজারে বিক্রি হচ্ছে খড়। মধ্যবাজারে বিশাল জায়গাজুড়ে খড়ের সারি সারি ছোট-বড় স্তুপ। খড় কিনতে ভীড় করছেন গৃহস্থরা। তাদের চাহিদা অনুযায়ী গৃহস্থরা কিনছেন খড়। চাহিদা বেশি থাকায় আগের তুলনায় খড়ের দামও বেড়ে গেছে।

খড়ের (গো-খাদ্য) দাম বেড়ে যাওয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েছে কৃষক। গরু নিয়ে কৃষক পড়েছেন বিপাকে। প্রতিদিন খড় ক্রয় করতে ট্রলি ও ভ্যান নিয়ে দুর দুরান্ত থেকে আসছেন কৃষক। তারা খড় ক্রয় করে নিয়ে যাচ্ছেন।

উপজেলার খারুয়া, মহেষকুড়া নরেন্দ্রপুর, হাটশিরা,কুর্শা, কাকুরিয়া, কয়ারপুর, রাজাপুর, বীরবাগারী,নাগপুর,ঝিনারীসহ আশেপাশের কৃষকরা আসছেন খড় ক্রয় করতে। ট্রলি ও ভ্যান নিয়ে এসেছেন তারা।

বিরাশি গ্রামের কৃষক কাজল,বীরকামট খালী গ্রামের কৃষক মিলন বলেন,আমরার খেড় (খড়) শেষ অইয়া গেছে। গরু নিয়া পড়ছি দুশ্চিন্তায়।

আমারার ৩টি করে গরু আছে। খেড় (খড়)শেষ তাই দেওয়ানগঞ্জ বাজারে আইছি খেড়(খড়) কিনবার আইছি।

খড়ের পাইকারি ব্যবসায়ী কুর্শা গ্রামের 

তোফাজ্জল,খালেক,জাহাঙ্গীর,ইসলাম,রব্বানী ফকিরা,হাটশিরা গ্রামের মিলন মিয়া,হুমায়ুন কবির সহ অনেকেই জানান, বর্তমান খড়ের ব্যবসা করে আমাদের ভালোই লাভ হচ্ছে। সংসারও চলছে ভালো। তিনমাসের জন্য এ ব্যবসা চলবে অগ্রাহায়ণ মাস পর্যন্ত।

তারা আরও জানান, বিভিন্ন গ্রাম থেকে বড় গৃহস্থের বাড়ি থেকে তারা খড় কিনে আনেন। প্রতিটি আটি ২০০ টাকা থেকে থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়।  প্রতিদিন ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকার খড় বিক্রি হয় প্রতিটি ব্যবসায়ীর।

স্থানীয় খারুয়া ইউপি চেয়ারম্যান কামরুল হাসনাত ভুঁইয়া মিন্টু বলেন, নান্দাইলের ঐতিহ্যবাহী বাজার দেওয়ানগঞ্জ। এখানে বসেছে খড়ের হাট। স্বল্পকালীন এই সময়ের ব্যবসা করে অনেক লাভবান হচ্ছেন বিক্রেতারা। উপকৃত হচ্ছেন কৃষকরা। আশপাশের মধ্যে একমাত্র খড় বিক্রির হাট এটি।

 

 

একুশে সংবাদ/বিএইচ

Link copied!