AB Bank
ঢাকা মঙ্গলবার, ২১ মে, ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

এক হাত বদলেই হরিরামপুরে সবজির দাম বেড়ে যায় দ্বিগুণ


Ekushey Sangbad
সায়েম খান, মানিকগঞ্জ
০২:১৬ পিএম, ১৯ অক্টোবর, ২০২৩
এক হাত বদলেই হরিরামপুরে সবজির দাম বেড়ে যায় দ্বিগুণ

কৃষকের মাথার ঘাম পায়ে ফেলে বহু কষ্টে বিভিন্ন রকমের ফসল ফলান কিছু লাভের আশায়। সামনে শীতকাল তাইতো ফসলি মাঠে বিভিন্ন প্রকার শাক-সবজি লাগাতে ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষকেরা। এরই মধ্যে বাজারে উঠতে শুরু করেছে বিভিন্ন রকমের শীতকালীন শাক-সবজি। মানিকগঞ্জের হরিরামপুরে বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ধুন্দল, ঝিঙা, লাউ, বেগুন, পুইশাকসহ বিভিন্ন রকমের শাক-সবজির পসরা সাজিয়ে হাট বাজারে বসে থাকেন কৃষকেরা।

সময়ের অভাবে আর ব্যস্ততার কারণে শাক-সবজি খুচরা হাট বাজারে তেমনটা বিক্রি করতে পারেন না বলে পাইকারদের দারস্থ হতে হয় কৃষকদের। পাইকারদের কারসাজি আর সিন্ডিকেটে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কৃষক। এসব দেখার কেউ নেই বলেই হয়তো দিনদিন ফসল উৎপাদনে বিমুখ হচ্ছে কৃষকেরা।

গতকাল বুধবার (১৮ অক্টোবর) বিকেলে উপজেলার লেছড়াগঞ্জ হাটে ৩ কেজি ধুন্দল আর দুইটা মিষ্টি লাউ বিক্রি করতে আসা কৃষক আব্দুর রহিম জানান, মিষ্টি লাউ দুইটা আনুমানিক প্রায় সাড়ে পাঁচ কেজি হবে। দুইটা বিক্রি করতে না পেরে হাটের পাইকার রমেজ এর কাছে বিক্রি করি ২৪০ টাকায়। আর তিন কেজি ধুন্দল বিক্রি করি প্রতিকেজি ২৫ টাকা দরে।

একটু পর ক্রেতা সেজে প্রতিবেদক ধুন্দলের দাম জিজ্ঞেস করাতে পাইকারী ব্যবসায়ী রমেজ খুচরা দাম চান ৫০ টাকা প্রতি কেজি। আর মিষ্টি লাউয়ের দাম চান প্রতিকেজি ১০০ টাকা।

উপজেলার আন্ধারমানিক বাজারে বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) সকালে, দুইকেজি ঝিঙা বিক্রি করতে আসা বাহিরচর গ্রামের কৃষক রমজান আলী জানান, প্রতিকেজি ঝিঙা ৫০ টাকা দরে বিক্রি করেছি পাইকারের কাছে। সেই পাইকারের কাছে প্রতিবেদক দাম জিজ্ঞেস করাতেই প্রতিকেজি ঝিঙার দাম চান ১০০ টাকা। ৫০ টাকা কেজি দরে কেনা ঝিঙার দাম দুই মিনিটে হাত বদলেই কেন এতো দাম? জানতে চাইলে পাইকারী দরে কেনা খুচরা ব্যবসায়ী জানান, অনেক খরচা আছে, এগুলো আপনি বুঝবেন না।

দড়িকান্দী গ্রামের কৃষক আওলাদ জানান, বেগুন আর পুইশাক আনছিলাম বাজারে। ২৫ টাকা কেজি দরে পুইশাক, ৫০ টাকা দরে বেগুন বিক্রি করেছি পাইকারের কাছে। সেই পুইশাক ৪০ টাকা কেজি, বেগুন ১০০ টাকা কেজি পাইকার বিক্রি করছে। আমাদের কপাল খারাপ, তাই সামনে আর কৃষি কাজ করবো না। শাক-সবজিও লাগাবো না।

হরিরামপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. শাহরিয়ার রহমান জানান, প্রায় সকল হাট-বাজারেই সকল কাচামালেই এমনটা হয় বলে আমরা শুনেছি। এ বিষয়ে আমি নিয়মিত খোঁজখবর নিচ্ছি। বাজারের তালিকা করছি, কোন কোন বাজারে এমন হচ্ছে। তথ্যানুযায়ী অবশ্যই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


একুশে সংবাদ/বিএইচ/এসআর

Link copied!