AB Bank
ঢাকা বুধবার, ২২ মে, ২০২৪, ৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

উজিরপুরে সুবিধাবঞ্চিত শিক্ষার্থীদের অনুদানের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ


উজিরপুরে সুবিধাবঞ্চিত শিক্ষার্থীদের অনুদানের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ

বরিশালের উজিরপুরে রামেরকাঠি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মজিদের বিরুদ্ধে সুবিধাবঞ্চিত শিক্ষার্থীদের সহায়তা অনুদানের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সহায়তা অনুদান প্রকল্পের নীতিমালা লংঘন করে শিক্ষাথর্তীদের মাঝে ৫ হাজার টাকার স্থলে ৫শ ও এক হাজার টাকা করে প্রদান করে বাকি টাকা নিজেই আত্মসাত করেন।

গত বুধবার সরজমিন ও বিদ্যালয় ও শিক্ষার্থীদের অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশে শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের সুবিধাবঞ্চিত শিক্ষার্থীদের শিক্ষার গুনগত মান উন্নয়নের লক্ষে সহায়তা অনুদান প্রদানের জন্য পারফরমেন্স বেজড গ্রান্টস ফর সেকেন্ডারী ইন্সটিটিউশনস (পিবিজিএসআই) প্রকল্পের সেকেন্ডারী এডুকেশন ডেভলপমেন্ট (এসইডিপি) ২০২২ -২০২৩ অর্থ বছরে উপজেলার শোলক ইউনিয়নের রামেরকাঠি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১৫ শিক্ষার্থীকে প্রতিজনকে ৫ হাজার টাকা করে অনুদান দেন। প্রধান শিক্ষক শিক্ষার্থীদের ৫শ থেকে এক হাজার টাকা প্রদান করে ৬৫ হাজার টাকা নিজেই আত্মসাত করেন।

বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি অধ্যক্ষ সুখেন্দ্র জানান, গত ২৮ সেপ্টেম্বর অনুদানের তালিকা তৈরীর জন্য একটি সভা আহবান করে একটি কমিটি গঠন করে দেওয়া হয়। ৬ষ্ট শ্রেনীর ছাত্রী তিথী হালদার অভিযোগ করে বলেন, স্যার আমার কাছ থেকে ৫ হাজার টাকার মাষ্টার রোলে স্বাক্ষর নিয়েছেন কিন্তু আমাকে এক হাজার টাকা দিয়েছে। তিথীর মা পুতুল রানী হালদার বলেন, মেয়ের কাছ থেকে ৫হাজার টাকার কাগজে সই নিয়ে হাতে এক হাজার টাকা ধরিয়ে দেন। মেয়ে বাড়িতে এসে বিষয়টি আমাকে জানিয়েছে।

একই অভিযোগ করেন নবম শ্রেনীর ছাত্রী স্মৃতি করাতি। তিনি বলেন, হেড স্যার আমাকে ৫শ টাকা দিয়ে ৫হাজার টাকার কাগজে স্বাক্ষর নেন। একই অভিযোগ করেন নবম শ্রেনীর ছাত্রী  শীথি রানী, নদী বাড়ৈ, হিমাদ্রী ঘরামী ও দশম শ্রেনীর ছাত্র কৌশিক হালদার, শ্রাবন হালদার ও দিবা রানী বাড়ৈ।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি অধ্যক্ষ সুখেন্দ্র বলেন, আমি তালিকা তৈরীর কমিটি করে দিয়েছে তার পর কি করেছে তা আমি জানি না। তবে শুনেছি ১৫ জনের টাকা ১শ জনের মধ্যে প্রদান করা হয়েছে। অভিযোগের ব্যাপারে জানতে প্রধান শিক্ষক আ: মজিদ আত্মসাতের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি কোন টাকা আত্মসাত করিনি। ১৫ জনের টাকা ১শজন শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিতরন করেছি। তার কাছে ১শজনের তালিকা দেখতে চাইলে তা তিনি দেখাতে পারেননি। তিনি (প্রধান শিক্ষক) ১৫ জনের মধ্যে দেয় একটি মাষ্টার রোল সাংবাদিকদের কে প্রদান করেন।


একুশে সংবাদ/আরই/বিএইচ/এসআর

Link copied!