কুড়িগ্রামের রাজীবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নতুন ভবনটি পরিদর্শন করেছেন স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। রোগী স্থানান্তরের আগে ভবনটি সম্পূর্ণভাবে ব্যবহারযোগ্য ও মানসম্মত করে তোলার লক্ষ্যে কর্মকর্তারা ভবনের প্রতিটি কক্ষ ঘুরে দেখে প্রয়োজনীয় উন্নয়ন বিষয়গুলো যাচাই করেন।
মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) দুপুরে পরিদর্শনকালে স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের কুড়িগ্রাম জেলার নির্বাহী প্রকৌশলী মাহফুজুর রহমান ভবনের ভেন্টিলেশন ব্যবস্থা, আলোকসজ্জা, বাতাস চলাচল এবং রোগীদের জন্য নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিতের বিষয়গুলো নিবিড়ভাবে পর্যালোচনা করেন। তিনি ভবনের অভ্যন্তরীণ তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের আশ্বাস দেন এবং অবশিষ্ট সমস্যাগুলো দ্রুত উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে সমাধানের প্রতিশ্রুতি দেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফজলে এলাহী বলেন, “রাজীবপুর একটি দুর্গম ও পিছিয়ে পড়া উপজেলা। এখানকার জনগণের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে আমরা জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও সিভিল সার্জন মহোদয়কে বিষয়টি অবহিত করেছি। প্রধান সমস্যা হলো বিদ্যুৎ ঘাটতি—দিনে প্রায় ১৪ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকে না। ভবনের ছাদের ওপর সোলার প্যানেল স্থাপন করলে এই ঘাটতি অনেকাংশে দূর হবে এবং তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে আসবে। এছাড়া বিদ্যুৎচালিত বেড, টয়লেট, খাবারের মানসহ সার্বিক বিষয় পরিদর্শন করেছি। সরকারি উদ্যোগে ভবনের ছাদে ছায়াযুক্ত বাগান তৈরি করে তাপমাত্রা কমানোর পরিকল্পনাও নেওয়া হয়েছে। পিছিয়ে থাকা রাজীবপুরের জনগণ যেন উন্নত স্বাস্থ্যসেবা পায়, সে লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি। প্রতি সপ্তাহে হাসপাতালের কার্যক্রম মনিটরিং করা হবে, যাতে স্বাস্থ্যসেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়া যায়।”
রাজীবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সরেওয়ার জাহান বলেন, “আমরা নিয়মিতভাবে রোগীদের সেবা দিয়ে যাচ্ছি এবং হাসপাতাল পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার বিষয়ে সর্বদা সচেষ্ট। জনবল সংকট থাকা সত্ত্বেও সেবার মান ধরে রাখার চেষ্টা করছি। পর্যাপ্ত জনবল পাওয়া গেলে আরও বেশি সংখ্যক রোগীকে উন্নত স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া সম্ভব হবে।”
এ সময় উপস্থিত ছিলেন রাজীবপুর উপজেলা প্রকৌশলী সৌরভ কুমার সাহা, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বিভিন্ন কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ।
একুশে সংবাদ/এ.জে