AB Bank
ঢাকা সোমবার, ০২ অক্টোবর, ২০২৩, ১৬ আশ্বিন ১৪৩০

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় কালন্দী খালে ময়লার স্তূপ জনস্বাস্থ্য হুমকিতে


Ekushey Sangbad
এনায়েত খান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
০২:৩৪ পিএম, ১ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় কালন্দী খালে ময়লার স্তূপ জনস্বাস্থ্য হুমকিতে

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া পৌর শহরের মাঝ দিয়ে বয়ে যাওয়া কালন্দী খাল ও পৌরসভার প্রতিটি ড্রেন রয়েছে অস্তিত্ব সংকটে। খাল ও ড্রেনে তৈরি হয়েছে ময়লা-আবর্জনার স্তূপ। দখল আর দূষণে কালন্দী খালে পানি প্রবাহ বন্ধ রয়েছে বহুদিন থেকে। কোথাও কোথাও বেশি পরিমাণে ময়লা জমে ড্রেনের পানির প্রবাহ বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে।

 

এভাবে খাল, ড্রেনে অপরিকল্পিতভাবে বর্জ্য ফেলায় জনস্বাস্থ্য হুমকির মুখে পড়েছে। ময়লা আবর্জনায় সৃষ্ট দুর্গন্ধে আশপাশের বাসিন্দারা অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন। পাশাপাশি বাড়ছে মশার উপদ্রবও এতে করে পৌর শহরের বাসিন্দারা রয়েছে ডেঙ্গু আতংকে। এই বর্ষা মৌসুমে খাল ও ড্রেনগুলি আখাউড়া পৌরবাসির জন্য যেন ‍‍`বিষফোড়া‍‍` হয়ে ওঠেছে।

 

সচেতন নাগরিকরা বলছেন, সরকারি কোনো প্রতিষ্ঠান এবং পৌর কতৃপক্ষ নাগরিকদের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করতে পারেনি, যে কারণে অসচেতন নাগরিকরা পরিবেশের বারোটা বাজাচ্ছেন। তবে পৌর কতৃপক্ষ বলছে, তারা এই বিষয়ে বিভিন্ন কাজ করলেও পৌর শহরের কিছু বাসিন্দা খাল-ড্রেনে ময়লা ফেলা বন্ধে সচেতন হচ্ছেন না।

 

সরেজমিনে পৌর শহরের সড়ক বাজার সিটি মার্কেটের পেছন থেকে আখাউড়া থানা ব্রিজ পর্যন্ত ও মসজিদ পাড়া এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে খাল ও ড্রেনে ময়লা-আবর্জনার স্তূপ। কালন্দী খালটির দুদু মিয়া হাউজিং সোসাইটির সামনের অংশে ময়লার স্তূপের কারণে নিচের পানিও দেখা যাচ্ছে না। ভুঁইয়া বোডিং পাশে খালটির অবস্থা আরও ভয়াবহ। সেখানে গেলে মনে হবে, খালটি যেন ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। যদিও এই খালটি দিয়েই পৌর শহরের বেশিরভাগ পানি অপসারণ হয়।

 

আখাউড়া কলেজ পাড়ার বাসিন্দা আইনুল হোসেন বলেন, ময়লা সংগ্রহ করার জন্য পৌরসভার নিয়োগকৃত লোকজন প্রতিদিন সকালে আসে ময়লা নেওয়ার জন্য। মাস শেষে ১০০ টাকা দিতে হয়। এই টাকা না দেওয়ার জন্য অনেক ফ্যামিলি ময়লা-আবর্জনা খালে, ড্রেনে, ও পুকুরে ফেলছে। পৌরসভা থেকে এসব বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় মানুষ এই বিষয়ে সচেতন হচ্ছে না বলেও তিনি মনে করেন।

 

সড়ক বাজারের ব্যবসায়ী মশিউর রহমান বলেন, বাসাবাড়ির পাশাপাশি বাজারের অনেক হোটেল ও দোকান তাদের ময়লা-আবর্জনা খালে ও ড্রেনে ফেলে দেয়। যার কারণে খাল ও ড্রেনগুলি অস্তিত্ব সংকটে রয়েছে। পরিবেশ দূষণের পাশাপাশি এসবের কারণে বেড়েছে মশার উপদ্রব। খালে ময়লা-আবর্জনা ফেলায় জনস্বাস্থ্য হুমকির মুখে পড়েছে।

 

আখাউড়া প্রকৃতি ও পরিবেশ ক্লাবের সদস্য সচিব রকিব উদ্দিন বলেন, মানুষের অসচেতনতার কারণে এই সমস্যা তীব্রতর হচ্ছে। সবচেয়ে বড় ব্যাপার হলো, বছরের পর বছর ধরে মানুষ এভাবে পরিবেশ দূষণ করলেও তাদের সচেতন করতে তেমন কোনো উদ্যোগই গ্রহণ করা হয়নি। নাগরিকদের সচেতন করতে সরকারি প্রতিষ্ঠান বা পৌর কতৃপক্ষ অনেক আগেই উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন ছিল। পাশাপাশি আইনের প্রয়োগ থাকলে বিষয়টি এই পর্যায়ে যেত না। আমরাও চেষ্টা করছি মানুষকে সচেতন করতে।

 

আখাউড়া পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী নিকাশ চন্দ্র মিত্র বলেন, সার্ক বাংলাদেশ নামে একটি প্রতিষ্ঠানের সাথে চুক্তি রয়েছে। তারা পৌরসভার ময়লা অপসারণের কাজ করে। কিন্তু এর পরও মানুষ খাল-ড্রেনে ময়লা ফেলছে। তবে আমরা মানুষকে সচেতন করতে বিভিন্ন কাজ করছি।মশা নিধনের জন্য আমাদের ৪ টি ফগার মেশিন ও পর্যাপ্ত ঔষধ রয়েছে। মশা নিধনে ফগার মেশিনের মাধ্যমে প্রতিনিয়ত ঔষধ দেওয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

 

একুশে সংবাদ/স ক  

Link copied!