উজানের ঢল ও ভারী বর্ষণে লালমনিরহাটে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। শনিবার (২৬ আগস্ট) সকাল ৬টায় ব্যারেজ পয়েন্টে বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি নিয়ন্ত্রণে ব্যারাজের ৪৪টি জলকপাট (স্লুইসগেট) খুলে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এতে লালমনিরহাটের নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
শুক্রবার (২৫ আগস্ট) সকাল থেকেই নদীর পানি বাড়তে শুরু করে।
ওইদিন সন্ধ্যা ৬টায় তা বেড়ে বিপৎসীমার ১৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। শনিবার সকালে ৩ সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে ব্যারেজের ভাটিতে থাকা লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা, কালীগঞ্জ, আদিতমারী ও সদর উপজেলার তিস্তা নদী তীরবর্তী চরাঞ্চলসহ নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। তলিয়ে গেছে শাক-সবজি ও রোপা আমনের খেত।
একদিকে বন্যা অপরদিকে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে গত রাত থেকে টানা বৃষ্টিতে নাজেহাল বন্যার্ত পরিবারগুলো। অনেকে বিভিন্ন স্থানে আশ্রয় নিয়েছে।
লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীল কুমার জানান, ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে পানি বেড়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় তিস্তা নদীর পানি আরও বাড়তে পারে। আজ রাতের পর থেকে তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার নিচে থাকা সম্ভাবনা রয়েছে।
পানি উন্নয়ন সূত্র আরও জানায়, লালমনিরহাটে তিস্তা নদীর পানি গাইবান্ধা বগুড়া হয়ে সিরাজগঞ্জের দিকে যাবে। বন্যা মোকাবেলা জেলায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রস্তুত রয়েছে বলে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্ল্যাহ জানিয়েছেন।
একুশে সংবাদ.কম/এসএপি
আপনার মতামত লিখুন :