গত দুদিনের টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে হু হু করে বাড়ছে তিস্তার নদীর পানি। বর্তমানে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেয়ে তিস্তার ডালিয়া ব্যারাজ পয়েন্টে বিপৎসীমার ১৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফল লালমনিরহাটের পাঁচ উপজেলার নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। দেখা দিয়েছে বন্যার শংঙ্কা।
সোমবার (১৪ আগষ্ট) সকাল ৯ টায় দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টে পানিপ্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫২ দশমিক ২৯ সেন্টিমিটার, যা বিপৎসীমার ১৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এর আগে সকাল ৬ টায় ব্যারাজ পয়েন্ট পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫২.৩৫ যা বিপদসীমার ২০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।
দেশের সর্ববৃহৎ সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজ পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানায়, দুদিনের বৃষ্টি ও উজানের ঢলে শনিবার থেকে দুপুরের পর থেকে তিস্তার পানি বাড়লে বিপদসীমা অতিক্রম করেনি। হঠাৎই রবিবার রাত থেকে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। বর্তমানে পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

তিস্তায় পানি বৃদ্ধির ফলে জেলার পাটগ্রাম, হাতিবান্ধা, কালীগঞ্জ, আদিতমারী ও সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলে পানি প্রবেশ করতে শুরু করেছে। হঠাৎ তিস্তার নদীর পানি বৃদ্ধিতে জেলার পাটগ্রামের দহগ্রাম, হাতীবান্ধা উপজেলার গড্ডিমারী,দোয়ানী, ফকিরপাড়া ইউপির রমনীগঞ্জ কালীগঞ্জ উপজেলার শৈইলমারী, নোহালী, চর বৈরাতি, আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা,কালমাটি ও সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ ইউনিয়নের তিস্তা এলাকার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীল কুমার বলেন, পানি বিপৎসীমার উপরে প্রবাহিত হচ্ছে। আগামী ২৪ ঘন্টায় বৃষ্টি না হলে এবং উজান থেকে পানির চাপ কমে গেলে তিস্তার পানি কমে আসবে।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আসফাউদ্দৌলা জানান, তিস্তার পানি বিপৎসীমার ১৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তাই দেশের সর্ববৃহৎ সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি গেট খুলে পানিপ্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে।
একুশে সংবাদ/স ক
আপনার মতামত লিখুন :