মাদারীপুরে তালাক দেয়া স্ত্রীকে ধর্ষণ মামলায় লালন ফকির (৩৫) নামে এক আইনজীবীকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছেন জেলা ও দায়রা জজ মো. জাকির হোসেন। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, রাজৈর উপজেলার ঘোষালকান্দি গ্রামের মৃত বেল্লাল ফকিরের ছেলে মিন্টু ফকিরের সঙ্গে প্রায় ১০ বছর পূর্বে একই গ্রামের সাজাহান শেখের মেয়ে ফাহিমা আক্তারের বিয়ে হয়। বিয়ের কিছু দিন পর মিন্টু ইতালী চলে যায়। এই সুযোগে ফাহিমার সঙ্গে তার দেবর অ্যাডভোকেট লালন ফকিরের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিষয়টি জানাজানি হয়ে গেলে মিন্টু তার স্ত্রী ফাহিমাকে তালাক দেয়।
পরে ফাহিমাকে তার দেবর লালন ফকির বিয়ে করে এবং বাড়ি ছেড়ে মাদারীপুর শহরের পানিছত্র এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে বসসাস শুরু করে। এরই মধ্যে ফাহিমা অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে এবং পরবর্তীতে একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দেয়। কিছুদিন যেতে না যেতেই এই দম্পতির মধ্যে কারণে-অকারণে কলহ দানা বাঁধতে শুরু করে।
এক পর্যায়ে অ্যাডভোকেট লালন ফকির তার স্ত্রী ফাহিমাকে এক তরফা তালাক দিয়ে ফাহিমাকে বাসায় রেখে লালন অন্যত্র চলে যায়। পরে অ্যাডভোকেট লালন ফকির গত ১৩ জুলাই শিশুর দুধ নিয়ে ফাহিমার বাসায় গিয়ে জোরপূর্বক তালাক দেয়া স্ত্রীকে ধর্ষণ করে।
এ ঘটনায় ফাহিমা গত ১৪ জুলাই অ্যাডভোকেট লালন ফকিরের বিরুদ্ধে আদালতে একটি মামলা দায়ের করে। মামলা দায়ের হলে অ্যাডভোকেট লালন ফকির উচ্চ আদালত থেকে অগ্রিম জামিনে আসে।
পরে অ্যাডভোকেট লালন ফকির উচ্চ আদালতের নির্দেশে বুধবার (২ আগস্ট) মাদারীপুর আদালতে হাজিরা দিতে গেলে আদালতের বিজ্ঞ বিচারক মো. জাকির হোসেন তার জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
একুশে সংবাদ/স/এসএপি
আপনার মতামত লিখুন :