AB Bank
ঢাকা শুক্রবার, ০৩ মে, ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

গফরগাঁওয়ে ১১ শিক্ষক হবেন চাকরিচ্যুত, ফেরত দিতে হবে বেতন


Ekushey Sangbad
জেলা প্রতিনিধি,ময়মনসিংহ
০৩:৪২ পিএম, ২৫ জুলাই, ২০২৩
গফরগাঁওয়ে ১১ শিক্ষক হবেন চাকরিচ্যুত, ফেরত দিতে হবে বেতন

ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলায় ১১ জন শিক্ষক হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হন। সেই জাল সনদধারী ১১ শিক্ষকের বিরুদ্ধে নোটিশ ও তাদের উত্তোলনকৃত বেতনের সমুদয় টাকা আদায়যোগ্য বলে নির্দেশ দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর।

 

জানা যায়, উপজেলার দত্তের বাজার ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজে, বেগম রাবেয়া মেমোরিয়াল বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়, আঠারো দানা ও সাহেব আলী উচ্চ বিদ্যালয়ে ১১ জন শিক্ষক নিয়োগ পেয়ে সরকারের কাছ থেকে মাসে মাসে বেতন পেয়ে আসছেন। অথচ তারা শিক্ষক হওয়ার জন্য যে শিক্ষক নিবন্ধন সনদ দিয়েছেন, সেটি ভুয়া।

 

জাল সনদধারী ১১ শিক্ষকের মধ্যে উপজেলার দত্তের বাজার ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষকেই ৭ জন। ১১ শিক্ষককে এখন সরকারের কাছ থেকে নেওয়া সমুদয় বেতন-ভাতা ফেরত দিতে হবে। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর বেতন-ভাতা ফেরতের ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য নির্দেশ দিয়েছে।

 

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, গত ১৮ মে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ৩৭.০০.০০০০.০৮৭.০৯৯.০০৩.১০২ নং স্মারকে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের শিক্ষা কর্মকর্তা তারিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত পত্রে জানানো হয় গফরগাঁও উপজেলার ৪টি প্রতিষ্ঠানের ১১ জন শিক্ষক দীর্ঘদিন যাবত ভুয়া সনদে চাকরি করছেন ও নিয়মিত বেতন-ভাতা উত্তোলন করছেন।

 

ভুয়া সনদধারী শিক্ষকরা হলেন, দত্তের বাজার ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের সহকারী শিক্ষক মোসাম্মৎ সালমা আক্তার, নাছির উদ্দিন, আজহারুল ইসলাম, মোশারফ হোসেন, শাকিলা মোসাম্মৎ নিলু, রাজিউল হক, দ্বীন ইসলাম, বেগম রাবেয়া মেমোরিয়াল বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী মৌলভী সফিকুল ইসলামসহ দুজন, আঠারো দানা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী মৌলভী ফাতেমা আক্তার ও সাহেব আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী মৌলভী আছমা খাতুন।

 

এদিকে উপজেলা দুর্নীতিবাজ একটি চক্র ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ অমান্য করে অভিযুক্ত শিক্ষকদের স্বপদে বহাল রাখার জন্য উপর মহলে দৌড়-ঝাঁপ শুরু করেছেন বলে জানা গেছে। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর থেকে প্রেরিত চিঠিতে জাল সনদধারী শিক্ষকদের বিরুদ্ধে এমপিও বন্ধ ও বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে চাকরিচ্যুত করা, অবৈধভাবে গ্রহণকৃত বেতন-ভাতা সরকারি কোষাগারে ফেরত প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহণ করা, অবসর গ্রহণকারীদের অবসর সুবিধা বাতিল করা, জাল সনদধারীদের সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান প্রধান কর্তৃক ফৌজদারি অপরাধের মামলা দায়ের, জাল সনদধারীদের নিয়োগ কার্যক্রমের সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণসহ সাতটি নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

 

দত্তেরবাজার ইউনিয়ন স্কুল ও কলেজের প্রধান হাবিবুর রহমান বলেন, আমার প্রতিষ্ঠানের যে ৭ জন শিক্ষক ছিলেন এর মধ্যে (নন এমপিওভুক্ত কলেজে) প্রভাষক সোহেল রানা ও আব্দুর রাজ্জাক চাকরি ছেড়ে চলে গেছেন। তারা প্রায় ৮ বছর চাকরি করার পর এখন এই নোটিশ। নোটিশ পাওয়ার পর যারা আছে তারা হাইকোর্টে রিট করেছে স্বপদে থাকার জন্য। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের নোটিশের জবাব তারা দেবেন।

 

আঠারদানা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো.খলিলুর রহমানের মোবাইল নম্বরে একাধিকবার ফোন করেও তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

 

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি ময়মনসিংহ জেলার স্মারক নং- জেশিঅ/ময়মন/২০২৩-৭৩৭ জেলা শিক্ষা অফিসার মোহসিনা খাতুনের স্বাক্ষরিত চিঠি পেয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক ও প্রতিষ্ঠান প্রধানদের অবহিত করা হয়েছে। তবে জাল সনদধারী অভিযুক্ত শিক্ষক ও প্রধান শিক্ষকদের কাছ থেকে কোনো জবাব পাওয়া যায়নি।

 

একুশে সংবাদ/তা.ক.প্র/জাহা

Link copied!