ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার শাহাজাদাপুর ইউনিয়ন নিয়ামতপুর গ্রামের সার্বজননীন দূর্গা মন্দিরে প্রতিমা ভাঙচুরের অভিযোগে মোঃ খলিল মিয়া (৩৯) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে সরাইল থানার পুলিশ।
গত বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার শাহজাদাপুর গ্রামে (বাগহাটি) এলাকায় মো. মঞ্জিলের বাড়ি থেকে তাকে আটক করা হয়। আটককৃত খলিল মিয়া নাসিরনগর উপজেলার জেঠাগ্রাম (চটিপাড়া) এলাকার মৃত মোতালিব মিয়ার ছেলে। মঞ্জিল মিয়া খলিলের আপন ছোট বোনের জামাতা।
স্থানীয়রা জানায়, রাত ৮টা দিকে বিদ্যুৎ চলে গেলে চারিদিকে অন্ধকার হয়ে পড়ে। সুযোগে গ্রামের দুর্গা মন্দিরে প্রবেশ করে এক যুবক। মন্দিরে রক্ষিত দুর্গা পূঁজার ৬টি মূর্তি একে একে ভাংচুর করে ওই যুবক। ভাংচুর শেষে চলে যাওয়ার সময় ২/৩ লোক অন্ধকারের মধ্যে যুবককে দেখে পরিচয় জানতে চাইলে দৌঁড়ে পালিয়ে যায়। বিদ্যুৎ আসলে মন্দিরের ভেতরে ৬টি মূর্তি ভাঙ্গাবস্থায় দেখে আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েন সেখানের বাসিন্দারা। কমিটির লোকজন বিষয়টি উপজেলা ও পুলিশ প্রশাসনকে অবহিত করেন।
বিষয়টি জানার পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন, সরাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ সরওয়ার উদ্দীন। মন্দিরের সিসি ফুটেজ দেখে রাত ১০টার দিকে সরাইল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আ.স.ম আতিকুর রহমানের নেতৃত্বে শাহজাদাপুর গ্রামে (বাগহাটি) অভিযান চালিয়ে মো. মঞ্জিলের বাড়ি থেকে মো. খলিল মিয়াকে গ্রেপ্তার করেন। গ্রেপ্তারের পর রাতেই মন্দির পরিচালনা কমিটির সভাপতি জগদীশ সরকার বাদী হয়ে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতসহ কয়েকটি ধারায় দ্রুত বিচার আইনে সরাইল থানায় মামলা করেছেন।
নিয়ামত সার্বজনীন দুর্গা মন্দিরের সভাপতি জগদীশ দাস বলেন, রাতে হঠাৎ কোনও কিছু বুঝে উঠার আগেই এক যুবক মন্দিরের প্রতিমা ভাঙচুর করতে থাকেন। এ ঘটনায় হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনের মধ্যে ক্ষোভ ও অসন্তোষ দেখা দেয়।
এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন জানান, এ ঘটনায় খলিল মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে কি কারণে সে প্রতিমা ভাঙচুর করেছে এ বিষয়টি পুলিশের কাছে এখনো স্পষ্ট নয়। খলিলের বিরুদ্ধে এর আগেও একাধিক মামলা রয়েছে। পুরো বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখছেন পুলিশ। এ ঘটনায় আইননানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
একুশে সংবাদ/এসএপি



একুশে সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

