AB Bank
  • ঢাকা
  • বুধবার, ০২ জুলাই, ২০২৫, ১৮ আষাঢ় ১৪৩২

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

ঠিকাদারের গাফিলতি: ৫ বছরেও শেষ হয়নি বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণ


Ekushey Sangbad
বি এম রবিউল ইসলাম, উজিরপুর, বরিশাল
০১:৫৭ পিএম, ১৫ জুলাই, ২০২৩

ঠিকাদারের গাফিলতি: ৫ বছরেও শেষ হয়নি বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণ

বরিশালের উজিরপুরে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন নির্মান কাজ পাঁচ বছরেও শেষ না হওয়ায় চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। ঠিকাদারের গাফলতি ও অনিয়মের কারনে  নির্মাণ কাজ শেষ হচ্ছে না বলে বিদ্যালয়ের শিক্ষাক, অভিভাবক ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান অভিযোগ করেন। 

 

বরিশাল এলজিইডি, শিক্ষক, অভিভাবক ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, উজিরপুর উপজেলার সাতলা ইউনিয়নের প্রত্যন্ত পল্লিতে ১৯৭০ সালে বাইনের দীঘিরপাড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। ওই সময় নির্মিত বিদ্যালয়ের ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় উপজেলা প্রকৌশল বিভাগ ভবনটিকে পরিত্যক্ত ঘোষনা করেন। বরিশাল এলজিইডি জিপিএস প্রকল্পের অধীনে একটি নতুন ভবন নির্মানের জন্য ৭৮ লাখ ৮৫ হাজার ৬ শত ৫ টাকার একটি প্রকল্প গ্রহন করে ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসে দরপত্র আহবান করেন। 

 

গত সোমবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উজিরপুর উপজেলার সাতলা ইউনিয়নের বাইনের দীঘিরপাড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পুরাতন ভবনটি ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে। দীঘির উত্তর পাড়ে দীঘি কিনারে একটি টিনের ঘর তুলে সেখানে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করা হয়। টিনের ঘরের তিন কক্ষের একটি অফিস কার্যক্রম পরিচালনা করেন এবং দুটি কক্ষে পাঠদান  করায় পাঠদান কক্ষের সংকট সৃষ্টি হয়েছে। এতে করে শিক্ষার্থীরা আসন সংকটে অনেকেই বসতে পারে না। এ ছাড়া নির্মানাধীন ভবনের ভীত ও নিচের বীম ও কলাম নির্মান করা হয়। পরবর্তীতে ছাদের সেন্টারিং করে কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে। ফলে প্রকল্পে ব্যবহৃত রডে মরিচা পরে গেছে। দীঘির উত্তর পাড়ে যেনতেন ভাবে একটি টিনের ঘর তোলা হয়। সেখানে আসন সংকটের কারনে শিক্ষার্থীদের বসে পাঠদানে সমস্যা সৃষ্টি হয়। ফলে অনেকই স্কুলে আসা বন্ধ করে দেন। নির্মাণ কাজে ঠিকাদার গাফলতি করে সাড়ে ৫ বছরেও কাজ শেষ করতে পারেননি। প্রভাবশালী ঠিকাদার নিজের ইচ্ছামত ও খাম খেয়ালীপনার মাধ্যমে কাজ করে যাচ্ছেন। তাকে দ্রুত কাজ শেষ করতে বললে ঠিকাদার শিক্ষক ও কমিটির সদস্যদের সাথে খারাপ আচরন করে থাকে।

 

সাতলা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান শাহীন হাওলাদার বলেন, ২০১৮ সালে ঠিকাদার কাজ শুরু করে মাটি খোড়াখুড়ি করে কয়েকটি ভীত ও নিচের বীমের ঢালাই দিয়ে অনিদৃষ্টকালের জন্য নির্মান কাজ বন্ধ রাখেন। সম্প্রতি সময়ে সেন্টারিং করে পুনরায় ফেলে রাখা হয়েচে। এতে লেখাপড়া ব্যাহতসহ চরম দূর্ভোগ পোহাতে হয় শিক্ষার্থীদের। আমরা জরুরী ভিত্তিতে ভবন নির্মাণ শেষ করার জন্য উপজেলা মাসিক সমন্বয় সভায় আমি জানাই, তাতেও কোন লাভ হয়নি।

 

স্থানীয় অভিভাবক সুরেস চন্দ্র বালা, শামীম মিয়া, জলিল মিয়া অভিযোগ করে বলেন, ঠিকাদার পুরাতন ভবনটি ভেঙ্গে ফেলে নতুন ভবনের কাজ শুরু করে সামান্য কিছু কাজ করে বন্ধ করেছে । ফলে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া ব্যবহতসহ দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

 

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক প্রবীর কুমার মন্ডল জানান, ২০১৮ সালে ঠিকাদার পুরাতন ভবনটি ভেঙ্গে ফেলে পরবর্তীতে যেনতেনভাবে একটি টিনের ঘর নির্মান করে পাঠদান করা হয়। এতে শিক্ষার্থীদের বসার সংকুলন হচ্ছে না। গত সাড়ে ৫ বছরে নির্মান কাজ কাজ শেষ না করায় শিক্ষার্থীদের পাঠদানে বিঘ্ন হচ্ছে। ঠিকাদারকে কাজ শেষ করার জন্য বার বার অনুরোধ করা সত্বেও কাজ করেননি বরং আমাদের সাথে দুর্ব্যবহার করেছে। বিষয়টি উজিরপুর উপজেলা প্রকৌশলীকে জানানোর পরেও ঠিকাদারের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেননি।

 

বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি পরিমল কুমার বাইন জানান, ঠিকাদারের গাফলতি ও খাম খেয়ালিপনায় দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে ।

 

অভিযোগ সম্পর্কে জানতে মেসার্স সিকদার কনষ্ট্রাশনের প্রোপ্রাইটর মো. ফয়সাল আহম্মেদের কাছে ফোন করলে তিনি ফোন রিসিপ করেননি।

 

উজিরপুর উপজেলা শিক্ষা অফিসার শাহনাজ বেগমের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিদ্যালয়ের ভবনটি নির্মিত না হওয়ায় গত সাড়ে ৫ বছর ধরে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। উপজেলা প্রকৌশলীকে বার বার অনুরোধ করা সত্বেও তিনি ঠিকাদারের বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ গ্রহন করেননি।

 

এ প্রসঙ্গে উজিরপুর উপজেলা প্রকৌশলী সুব্রত রায়ের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, দ্রুত কাজ শেষ করতে ঠিকাদারকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। নির্দেশনা অমান্য করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

একুশে সংবাদ/র.ই.প্র/জাহা

Link copied!