বিদ্যালয়ের প্রাচীর ঘেষে চামড়ার স্তুপ, ভোগান্তিতে শিক্ষার্থীরাকোরবানির পশুর চামড়ার দুর্গন্ধে বেকায়দায় পড়েছেন পথচারী আর বিদ্যালয়গামী কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীরা। বিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীর ঘেষে চামড়া রেখে এ অবস্থার সৃষ্টি করেছেন আব্দুল হালিম নামের এক চামড়া ব্যবসায়ী। দ্রত অপসারণ চেয়ে সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগীরা।
জানা যায়, ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর পৌর এলাকার চামড়ার ব্যবসায়ী আব্দুল হালিম। প্রতি বছরের ন্যায় এ বছর ও তিনি কোরবানির পশুর চামড়া রেখেছেন তাঁর নিজ আড়ৎ আর বিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীর ঘেষে। এতে চরম ওই চামড়ার দূর্গন্ধে ভোগান্তিতে পড়েছেন ওই বিদ্যালয়ের কমলমতি ছাত্র/ছাত্রী,অভিভাবক ও পথচারীরা।
কোটচাঁদপুর বাজেবামনদহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণীর শিক্ষার্থীর পিতা উজ্জ্বল হোসেন বলেন, ঈদের পর এলাকার চামড়া সংগ্রহ করে এখানে রেখেছেন। দূর্গন্ধে চরম ভোগান্তিতে পথচারী ও আশপাশের দোকানদাররা। এখন স্কুল খুলেছে। ফলে বেকায়দায় পড়েছেন স্কুল কলেজ গামী ছাত্র ছাত্রীরা। তিনি দ্রুত অপসারণের দাবি জানিয়েছেন।
বাজেবামন দহ বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী সুরাইয়া জামানের পিতা সাংবাদিক আব্দুল্লাহ বাশার বলেন, চামড়া গুলো দশ দিন ধরে পড়ে আছে বিদ্যালয়ের বাউন্ডারির পাশে । এতে স্কুল পড়ুয়া কমলমতি ছাত্র-ছাত্রীরা পড়ছে ভোগান্তিতে। এ ছাড়া ওই চামড়ার স্তুপ থেকে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে শারীরিক ভাবে অসুস্থ্য হতে পারেন ছাত্র-ছাত্রী। এটার দ্রুত সমাধান হাওয়া প্রয়োজন বলে মনে করছেন তিনি।
পথচারী আসাদুল ইসলাম বলেন, ঈদের পর থেকে খুব সমস্যায় পড়তে হচ্ছে, চামড়ার দুর্গন্ধের কারণে । নিয়মিত যাতায়াত করতে হয় এই রাস্তায়।
বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী ইমরান হোসেন বলেন, বিরাট বিপদে আছি স্কুল কতৃপক্ষের না বলে সামনে ফেলে রাখা চামড়ার জন্য ।
চামড়া ব্যবসায়ী আব্দুল হালিম বলেন, আমার আড়তের ভিতরে আর জায়গা না থাকার কারণে বাইরে রাখতে হয়েছে। পলিথিন দিয়ে ডেকে রেখেছি। কুরবানির পশুর চামড়া একটু বেশি হয়। দুই এক দিনের ভিতর সরিয়ে ফেলবো। পাইকারী ব্যবসায়ীরা এসে নিয়ে যাবে।
বিষয়টি নিয়ে বাজেবামদাহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের (ভারপ্রাপ্ত) প্রধান শিক্ষক নাজনিন সুলতানার মুঠো ফোনে একধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।
একুশেসংবাদ.কম/সু.কু/বিএস
আপনার মতামত লিখুন :