AB Bank
ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

ঘুমন্ত স্বামীকে ওড়না পেঁচিয়ে হত্যা, দণ্ডপ্রাপ্ত স্ত্রী গ্রেপ্তার


ঘুমন্ত স্বামীকে ওড়না পেঁচিয়ে হত্যা, দণ্ডপ্রাপ্ত স্ত্রী গ্রেপ্তার

লক্ষ্মীপুরে ঝগড়ার পর ঘুমন্ত স্বামী মহরম আলী মোহনকে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যার দায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রাপ্ত স্ত্রী দিলু বেগমকে (৩৮) গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-১১।

 

হত্যা মামলার রায়ের দেড় মাস পর শুক্রবার (২৬ মে) সন্ধ্যায় ফেনীর বিজয়সিংহ সার্কিট হাউস এলাকার একটি তিনতলা বাড়ির নিচতলা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

 

র‌্যাব-১১ এর নোয়াখালী ক্যাম্পের কোম্পানী অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মাহমুদুল হাসান রোববার সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, স্বামীকে হত্যার ঘটনায় আসামি দিলুকে আদালত যাবজ্জীবন কারাদ- দেয়। রায়ের সময় তিনি পলাতক ছিলেন। আমরা অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করেছি। তাকে লক্ষ্মীপুর সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। দ-প্রাপ্ত দিলু ফেনী জেলার দক্ষিণ চাডিপুর গ্রামের মৃত আবদুল খালেকের মেয়ে। তার স্বামী ভিকটিম মোহনের বাড়ি লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার উত্তর জয়পুর ইউনিয়নের কালিদাসের বাগ গ্রামে।

 

রায়ের পর জেলা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মো. জসিম উদ্দিন জানিয়েছেন, দিলু বেগম পারিবারিক কলহের জেরে তার স্বামী মোহনকে হত্যা করে। আদালত দিলু বেগমকে দোষী সাবস্ত করে ৩০২ ধারায় যাবজ্জীবন কারাদ-ের রায় দিয়েছেন।

 

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০১১ সালের ৩০ মার্চ রাতে নিজ বসতঘরে খুন হয় মহরম আলী মোহন। ঘটনার রাতে সে স্ত্রী দিলু বেগম ও ৫ বছরের মেয়ে তিশাকে নিয়ে ঘুমিয়ে ছিলেন। ওই রাতে মোহনের মা জাহানারা বেগম (৬০) বাড়িতে ছিলেন না। রাত ১ টার দিকে তিনি মোবাইল ফোনে ছেলের মৃত্যুর সংবাদ পান। মৃতদেহের গলায় এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখমের চিহ্ন ছিল। পরদিন ৩১ মার্চ মা জাহানারা বেগম বাদী হয়ে ছেলেকে হত্যার অভিযোগে পুত্রবধূ দিলু বেগমকে আসামী করে সদর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। পরে জামিনে বেরিয়ে সে পলাতক থাকে।

 

হত্যা মামলাটি তদন্ত করে পুলিশ হত্যার দায়ে দিলু বেগমকে অভিযুক্ত করে ২০১১ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দেন। এতে উল্লেখ করা হয়, ভিকটিম মোহন কাজের সুবাধে ফেনীত থাকতো। সে নেশা করতো। এ নিয়ে স্ত্রীর সাথে তার ঝগড়া হতো। ঘটনার রাতে সে ফেনী থেকে বাড়িতে আসে। ওই রাতে তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে দিলু বেগম তার স্বামী মোহনের গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে।

 

একুশে সংবাদ/এসএপি

Link copied!