রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার অবিষ্ফোরিত গ্রেনেডের যন্ত্রাংশ কুড়িয়ে পেয়ে বাড়িতে আনার পর বিষ্ফোরিত হয়ে পিতা ও পুত্র নিহত হয়েছেন। একই ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন মা সখিনা বেগম (৩৫)। তাকে গুরুতর আশঙ্কাজনক অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
রোববার (৮ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় ৬টায় কাপ্তাই উপজেলার ৩নম্বর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডে বাদশা মাঝির টিলা এলাকায় এই নির্মমভাবে ঘটনা ঘটে। নিহত বাবার নাম ইসমাইল মিয়া (৪৫)। ছেলের নাম মোঃ রিফাত (৭)।
কাপ্তাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জসিম উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, কাপ্তাই জীবতলী এলাকার জঙ্গল থেকে অবিষ্ফোরিত গ্রেনেডের যন্ত্রাংশ প্লাস্টিকের বস্তায় ভরে কুড়িয়ে বাড়িতে নিয়ে আসেন ইসমাইল মিয়া। সেগুলো হয়তো চুলার আশপাশে রেখেছেন। সেই গ্রেনেড চুলার আগুনে গরম হয়ে বিষ্ফোরণ হয়েছে বলে ধারনা করা হচ্ছে। এই ঘটনায় ঘটনাস্থলেই মারা যান ইসমাইল মিয়া ও তার ছেলে মোঃ রিফাত।
অন্যদিকে, গুরুতর আহত অবস্থায় তার স্ত্রী সখিনা বেগমকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এই আকস্মিক ঘটনার পর পরই রাত ৮টায় কাপ্তাই ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সকে খবর দিলে অবিস্ফোরিত ও যন্ত্রাংশ নিহত ইসমাইলের বাসা হতে উদ্বার করা হয়। নিহত বাবা ও ছেলের লাশ কাপ্তাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত রাখা হয়েছে।
আজ রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হবে।
একুশে সংবাদ.কম/নি.চ.প্র/জাহাঙ্গীর