মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলায় মসজিদের আয়-ব্যয়ের হিসাব চাওয়াকে কেন্দ্র করে দুজন মুসল্লির ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। গত শুক্রবার জুমার নামাজের পর উপজেলার বৌলতলী ইউনিয়নের পয়সা গ্রামের পয়সা বায়তুল আমান জামে মসজিদে এ ঘটনা ঘটে।
এ বিষয়ে উভয় পক্ষ লৌহজং থানায় একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নামাজ শেষে মুসল্লি মো. কাউসার হোসেন খান ও মো. আকমল হোসেন খান মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক থেকে আয়-ব্যয়ের হিসাব জানতে চান। এ সময় কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে লোকমান দেওয়ান ক্ষিপ্ত হয়ে কাউসার হোসেনের ওপর চড়াও হন এবং তাকে মারধর করেন। তাকে রক্ষা করতে গেলে আকমল হোসেন খানও আহত হন। আহতরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন।
ভুক্তভোগী কাউসার হোসেন খান বলেন, “আমরা শুধু মসজিদের অর্থনৈতিক হিসাব জানতে চেয়েছিলাম। সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আলী দেওয়ান হিসাব না দিয়ে আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করেন। আমি কমিটি ভেঙে নতুন কমিটি ঘোষণা করা সম্ভব কিনা জানতে চাইলে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে আক্রমণ করেন।”
মসজিদ কমিটির সভাপতি আহমেদ মোস্তফা জানান, “সাধারণ সম্পাদক আঃ আলী দেওয়ানের কাছে কয়েক সপ্তাহ আগে হিসাব চাওয়া হয়েছিল। তিনি পরের জুম্মায় হিসাব দেওয়ার কথা বললেও তা দেননি এবং কমিটি ভেঙে দেন। কাউসার হোসেন খান প্রতিবাদ করলে বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে হাসেম দেওয়ানের ছেলে লোকমান হোসেন তার ওপর আঘাত করেন।”
মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক আঃ আলী দেওয়ান বলেন, “এদিকে এলাকাবাসীর অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে মসজিদের অর্থনৈতিক লেনদেনের সঠিক হিসাব প্রকাশ করা হচ্ছে না।”
অভিযুক্ত লোকমান হোসেন খান বলেন, “গত শুক্রবার মসজিদের ভিতরে কমিটি সংক্রান্ত বাকবিতণ্ডা হয়েছে। আমি পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার জন্য হালকা ধাক্কা দিয়েছি। আমি কাউকে গুরুতরভাবে আঘাত করি নি। আমার বিরুদ্ধে করা অভিযোগ ভিত্তিহীন।”
ঘটনার বিষয়ে লৌহজং থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. ওসমান গনি বলেন, “উভয় পক্ষের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
একুশে সংবাদ/এ.জে