৯ বছর বয়সী শিশু। গ্রামের অন্যান্য শিশুদের সাথে খেলাধুলায় সময় কাটত যার। কিন্তু এই বয়সে ‘বাবা হত্যার বিচার চাই’ ব্যানার নিয়ে এসেছে মদন উপজেলা পরিষদে। বলছি সদ্য নিহত হওয়া মদন উপজেলা খাগুরিয়া গ্রামের আসাদুলের শিশু সন্তান জিরাতুল ইসলামের কথা।
শনিবার (২০ নভেম্বর ) সকালে আসাদুলের মরদেহ তার নিজ বাড়িতে দাফন করা হয়। দাফন শেষে নিহতের ছেলে জিরাতুল ইসলাম তার ৭ বছর বয়সী ছোট বোন প্রিয়া আক্তার, ৪ বছর বয়সী বোন আখি মনি ও ৮ মাস বয়সী বোন লাকী কে কুলে নিয়ে কান্না জড়িত কন্ঠে বিচারের দাবি জানাচ্ছে।
গত রবিবার (৭ নভেম্বর) রাতে উপজেলার কাইটাইল ইউনিয়নের বড় খাগুড়িয়া গ্রামের আলতু মিয়ার ছেলে আসাদুলকে কুপিয়ে আহত করে র্দূবিত্তরা। ঘটনার ১২ দিন পর বৃহস্পতিবার (১৮ নভেম্বর) রাতে ঢাকার একটি একটি বেসরকারী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় সে। শনিবার (২০ নভেম্বর) সকালে আসাদুলের লাশ তার নিজ বাড়িতে দাফন করা হয়। দাফন শেষে বিকেলে হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে খাগুরিয়া গ্রামের সচেতন ছাত্র ও যুব সমাজের আয়োজনে মদন উপজেলা পরিয়দের সামনের সড়কে ঘন্টাব্যাপী এক মানববন্ধন অনুষ্টিত হয়। হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবি জানিয়ে মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন, নূরুল হুদা সুমন,নাফিস হায়াৎ তন্ময়, রুহুল গণি,কল্লোল হাসান প্রমূখ।
এ দিকে ঘটনার পর দিন রাতে আসাদুলের বাবা বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মদন থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে একই গ্রামের আপোষ মিয়ার ছেলে জুয়েলকে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করে বুধবার (১০ নভেম্বর) জেল হাজতে পাঠায় মদন থানার পুলিশ। পূর্বের দায়েরকৃত মামলাটি হত্যা মামলায় রূপান্তরিত হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন মদন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি)মুহাম্মদ ফেরদৌস আলম।
একুশে সংবাদ/এসকে/ এএমটি



একুশে সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

