AB Bank
ঢাকা মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ, ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

মদনে স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণ


Ekushey Sangbad
একুশে সংবাদ ডেস্ক
০৬:১৭ পিএম, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২১
মদনে স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণ

নেত্রকোনার মদনের পল্লীতে এক স্কুলছাত্রী (১৪) কে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে মাসুম মিয়া(২২) নামের এক কলেজ ছাত্রের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে এলাকায় দফায় দফায় সালিশী বৈঠক হলেও এর কোনো সুরাহা হয়নি। ওই স্কুল ছাত্রীকে উদ্ধারের জন্য তার বাবা (১২ সেপ্টেম্বর) রবিবার মদন থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

গত বৃহস্পতিবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাতে উপজেলার মাঘান ইউনিয়নের নয়াপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত মাসুম মিয়া নয়াপাড়া গ্রামের ইকবাল মিয়ার ছেলে ও ময়মনসিংহ রয়েল মিডিয়া কলেজের দ্বাদশ শ্রেনির ছাত্র। 

ভুক্তভোগী স্কুল ছাত্রীর পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মাঘান নয়াপাড়া গ্রামের অভিযুক্ত মাসুম মিয়া প্রতিবেশী ওই স্কুল ছাত্রীকে প্রায় সময় উত্ত্যক্ত করত। বিয়ের প্রলোভন দিয়ে একাধিক বার ওই স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণ করেছে মাসুম।

বৃহস্পতিবার রাত আনুমানিক ১১ টায় ওই স্কুল ছাত্রীকে জোড় পূর্বক তুলে নিয়ে নিজ ঘরে ধর্ষণ করে মাসুম। এ নিয়ে শুক্রবার সকালে এলাকায় সালিশী বৈঠক হলেও এর কোনো সুরাহা হয়নি। ঘটনার পর থেকে মাসুম তার নিজ বাড়িতে ওই স্কুল ছাত্রীকে আটকে রেখেছে। স্কুল ছাত্রীকে উদ্ধার করতে তার বাবা রবিবার মদন থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। 

স্কুল ছাত্রীর বাবা বলেন, আমার মেয়েটিকে প্রায় সময় বিরক্ত করত মাসুম। বৃহস্পতিবার রাতে বাড়ি থেকে জোড় করে তুলে নিয়ে আটকে রেখে ধর্ষণ করেছে। এলাকার দেন-দরবার হলে মাতাব্বরগণের কাছে ধর্ষণের ঘটনা খোলে বলেন আমার মেয়ে। কিন্তু মাসুম মিয়া ও তার পরিবারের লোকজন প্রভাবশালী হওয়ায় আমার মেয়েকে আটকে রেখে নির্যাতন করছে। বিচার চেয়ে থানায় অভিযোগ দিয়েছি। 

অভিযুক্ত মাসুম মিয়ার মা শেফালী আক্তার জানান, মেয়েটির সাথে আমার ছেলের প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। মেয়েটি আমার বাড়িতেই আছে। মাসুম শুক্রবার সকালে ময়মনসিংহ কলেজে চলে গেছে। প্রাপ্ত বয়স হলে দুজনকে বিয়ে দিব। 

সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্য হাবিবুর রহমান জানান, বিষয়টি নিয়ে কয়েকবার দেন-দরবার হয়েছে। দরবারে উপস্থিত সকলের সামনে মেয়েটি বলেছে তাকে একাধিক বার ধর্ষণ করেছে মাসুম মিয়া। মেয়েটি বর্তমানে মাসুম মিয়ার বাড়িতে আছে। 

মদন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি তদন্ত) মাজেদুল ইসলাম বলেন, এ ব্যাপারে একটি মৌখিক অভিযোগ পেয়েছি। পুলিশ প্রেরণ করে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


একুশে সংবাদ/সাকের/আরিফ

Link copied!