যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (যবিপ্রবি)-এর পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তি (এনএফটি) বিভাগের অধ্যাপক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর ড. মো. ওমর ফারুকের বিরুদ্ধে সম্প্রতি বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত মিথ্যা ও বানোয়াট সংবাদে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে মানববন্ধন করেছে বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (২৭ অক্টোবর) দুপুর আড়াইটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে অনুষ্ঠিত এ মানববন্ধনে পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তি বিভাগের সকল শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন। কর্মসূচিতে বক্তারা একযোগে অধ্যাপক ড. মো. ওমর ফারুকের বিরুদ্ধে উত্থাপিত নানা অভিযোগের তীব্র প্রতিবাদ জানান এবং তা যুক্তি ও প্রমাণের মাধ্যমে খণ্ডন করেন।
সম্প্রতি, গণমাধ্যমে (গ্রামের কাগজ, দৈনিক জনকণ্ঠ) প্রকাশিত সংবাদে তাঁর বিরুদ্ধে “অবৈধভাবে অধ্যাপক পদে পদোন্নতি”, “বারডেমে চাকরিরত অবস্থায় নিয়মবহির্ভূতভাবে পিএইচডি সম্পন্ন” এবং “অস্তিত্ববিহীন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন”-এর মতো গুরুতর অভিযোগ আনা হয়।
তবে এই অভিযোগগুলোকে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত উল্লেখ করে শিক্ষার্থীরা বলেন, এটি একজন সম্মানিত শিক্ষকের মানহানি করার অপচেষ্টা।
পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী জান্নাতুল ঐত্রী বলেন, “স্যারের বিরুদ্ধে যে মিথ্যা অভিযোগগুলো আনা হয়েছে, তা সম্পূর্ণই ব্যক্তিগত আক্রোশ ও প্রতিহিংসার ফল। প্রথমত, অধ্যাপক পদে উন্নীত হওয়ার ক্ষেত্রে স্যার সম্পূর্ণ নিয়ম মেনেই পদোন্নতি পেয়েছেন। তিনি টানা নয় বছর সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন, যেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী পাঁচ বছর পূর্ণ হলেই অধ্যাপক পদে উন্নীত হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করা যায়।”
তিনি আরও বলেন, “ চাকরিরত অবস্থায় পিএইচডি সম্পন্ন করা কোনো নিয়মবহির্ভূত কাজ নয়। দেশের নিয়ম অনুযায়ী যেকোনো চাকরিজীবী পিএইচডি করতে পারেন। স্যার সম্পূর্ণ নিয়ম মেনেই তাঁর গবেষণা সম্পন্ন করেছেন। আর যাঁরা বলছেন স্যারের পিএইচডিকৃত বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্তিত্ব নেই, তাঁরা প্রকৃতপক্ষে অজ্ঞ। স্যার ফ্রান্সের বিখ্যাত Université de Montpellier থেকে পিএইচডি করেছেন, যা প্রায় ৮০০ বছরের পুরোনো একটি বিশ্বখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়।”
এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন ও পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তি বিভাগের অধ্যাপক ড. শিরীন নিগার বলেন, “কিছু পত্রিকায় স্যারকে নিয়ে যে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে, তার প্রতিবাদে আমরা এখানে একত্রিত হয়েছি। কোনো অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত কাউকে অপরাধী বলা নৈতিক নয়। এটি শিক্ষক সমাজের মর্যাদা ক্ষুণ্ণ করার অপচেষ্টা, যার আমরা তীব্র নিন্দা জানাই।”
বক্তারা আরও বলেন, সংবাদমাধ্যমের উচিত হবে যাচাই-বাছাই ছাড়া এ ধরনের বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রকাশ না করা। নচেৎ এতে ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের সুনাম ক্ষুণ্ণ হয়।
মানববন্ধন শেষে অংশগ্রহণকারীরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে দায়ীদের বিরুদ্ধে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান।
একুশে সংবাদ/এ.জে



একুশে সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

